Bangladesh

Tareq threatens to capture voting booths in guerrilla style: Awami League

Tareq threatens to capture voting booths in guerrilla style: Awami League

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 29 Dec 2018, 04:46 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২৯: আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন পলাতক দন্ডপ্রাপ্ত আসামী তারেক রহমান গেরিলা কায়দায় ভোটকেন্দ্র দখলের হুমকি দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কীভাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা ভোটকেন্দ্র দখলের নির্দেশনা দিয়েছেন। দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেক রহমান ভিডিওবার্তার মাধ্যমে নাশকতার নির্দেশনা দিয়েছেন। তারেকের বক্তৃতায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্টের পরিকল্পনা ও সন্ত্রাস সৃষ্টির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি সংঘবদ্ধভাবে গেরিলা কায়দায় ভোটকেন্দ্র দখলের হুমকি দিয়েছেন। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট উৎসবকে তিনি বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন।’ শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নানক।


তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটিয়ে নির্বাচনের আগে ভীতি সঞ্চারের চক্রান্ত চালাচ্ছে। ভুয়া ব্যালট পেপার ছাপিয়ে ও নকল বুথ বানিয়ে সিল মারা নকল ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছডড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর নীলনকশা করছে।’সারা দেশে নৌকার প্রার্থীদের ওপর হামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে নানক বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্যন্ট নিশ্চিত পরাজয় বুঝতে পেরে নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী বৃহস্পতিবার সিলেটে কাওসার আহমেদকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। চারজনকে আহত করা হয়েছে। আটটি আওয়ামী লীগ অফিসে ও গাড়িবহরে হামলা করা হয়েছে। চারটি স্থানে বোমা হামলা করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার দিনাজপুরে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মাহবুবুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করেছে। তার হাতের দুটো আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিণায় আহত ডাক্তার মাহবুবুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছে।

 

এখন পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা ছয়জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। তাদের হামলায় ৪শ’ ৪৫ জন নেুাকর্মী আহত হয়েছে।

 

১৭৮টি আওয়ামী লীগ অফিস, গাড়িবহর ও নির্বাচনি কেন্দ্র ভাঙচুর করা হয়েছে।

 

৫৮টি বোমা হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তারা ৮৮টি অফিস ও যানবাহনে আগুন দিয়েছে।

 

সারা দেশে ৫৪টি জেলার ১৭০টি আসনে বিএনপি-জামায়াত এ ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনকে অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানাই।’