Bangladesh

Terrorists wanted to put Bangladesh into poor light
Amirul Momenin

Terrorists wanted to put Bangladesh into poor light

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 28 Nov 2019, 12:39 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, নভেম্বর ২৮ : হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় করা মামলার সাত আসামির মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এই রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘বাংলাদেশে তথাকথিত জিহাদ কায়েম করার লক্ষ্যে জননিরাপত্তা বিপন্ন করার এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জেএমবির একাংশ নিয়ে গঠিত নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশানে হলি আর্টিসান বেকারিতে নারকীয় ও দানবীয় হত্যাকা- ঘটিয়েছে।

হলি আর্টিসান বেকারিতে হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃর্শসতার জঘন্ন বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নিরপরাধ দেশি-বিদেশি মানুষ যখন রাতের খাবার খেতে হলি আর্টিসান বেকারিতে যান, তখনই আকস্মিকভাবে তাদের ওপর নেমে আসে জঙ্গিবাদের ভয়াল রূপ।’


‘জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা শিশুদের সামনে এ হত্যাকা- চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য জঙ্গিরা নিথর দেহগুলোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়ে হলি আর্টিসান বেকারি।’


আদালত আরও বলেন, ‘কলঙ্কজনক এ হামলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিদেশি নাগরিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। এর ফলে শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য পরিচিত বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি কিছুটা ক্ষুণ্ন হয়। সেজন্য সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না। এ ক্ষেত্রে আসামিদের সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৬ এর (৬) (২) (অ) ধারায় প্রদত্ত সর্বোচ্চ সাজা প্রদানই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে এবং ভাগ্যঘু মানুষের স্বজনরা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।’


২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে ঘত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় পরে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করে পুলিশ।
গত ১৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণা জন্য আজ ২৭ নভেম্বর (বুধবার) দিন ধার্য করেন।


মামলা দায়ের করার পর ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পরিদর্শক হুমায়ুন কবির। একই বছর ২৬ নভেম্বর ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার বিচার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।