Bangladesh

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় ‘যেনতেন প্রকারে রায়’ জনগণ মানবে নাঃ আলমগীর

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় ‘যেনতেন প্রকারে রায়’ জনগণ মানবে নাঃ আলমগীর

| | 27 Jan 2018, 09:00 am
ঢাকা, জানুয়ারি ২৭ঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ বলেছেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় ‘যেনতেন প্রকারে রায়’ এই দেশের মানুষ মেনে নেবেন না।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় য়াদালত ফেব্রুয়ারি ৮ তারিখে ঘোষণা করবে।


এক আলোচনা সভায় আজ আলমগীর বলেনঃ " এত সোজা নয়, বেগম খালেদা জিয়াকে আপনারা যেনতেন প্রকারে একটা রায় দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন, দেশের মানুষ সেটা মেনে নেবে না। সঠিক বিচার করতে হবে, ন্যায়বিচার হতে হবে।"


দেশের এক আদালত আগামী ফেব্রুয়ারি ৮ বিদেশ থেকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের নামে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় বি এনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজা হবে কি না সেই বিষয় রায় শোনাবেন।

 

দুদকের দায়ের করা এ মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে শেষ হয়েছে দুই পক্ষের যুক্তিতর্ক।

 

ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান এই মামলার রায়ের জন্য দিনটি ঠিক করে।

 

আজ বিচারকক্ষে উপস্থিত ছিলেন জিয়া।

 

যদি প্রমানিত হয় ওনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাহলে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।

 

খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানও এই দুর্নীতি মামলায় আসামি।

 

উনি মুদ্রা পাচারের দায়ে সাত বছর কারাদণ্ডের রায় নিয়ে এই মুহূর্তে উনি দেশের বাইরে আছেন।

 

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে ওনার বিরুদ্ধে।

 

মামলার ছয় আসামির মধ্যে এখন জিয়া বাইরে জামিনে বাইরে আছেন।

 

মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ অন্যদিকে আছেন কারাগারে।

 

সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানএই মামলায় পলাতক আছেন।

 

খালেদা জিয়ার প্রধান আইনজীবী আবদুর রেজাক খান বলেছেন যে ওনাদের বিশ্বাস সাবেক প্রধানমন্ত্রী এই মামলায় কালাস পাবেন।

 

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন যে আদালতে ওনারা পমান করেছেন  এই মামলার অভিযোগ।

 

প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়া ও চারজনের বিরুদ্ধে জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়  এই মুহূর্তে বকশীবাজারের একই আদালতে বিচার চলছে

 

এই মামালার আগামী যুক্তিতর্কের জন্য ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি এবং ১ ফেব্রুয়ারি দিনগুলিকে ঠিক করেছেন বিচারপতি।