Bangladesh
Today is Suhrawardy's 55 death anniversary
১৯৬৩ সালের এদিনে লেবাননের বৈরুতের এক হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় অবিসংবাদিত এ নেতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টায় বাংলাদেশ হাইকোর্ট সংলগ্ন মরহুম হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তার নেতৃত্বের অসাধারণ বলিষ্ঠতা, দৃঢ়তা ও গুণাবলি জাতিকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছে। গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার ও আইন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি অসাধারণ অবদান রেখেছেন।
বিবৃতিতে তিনি গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনসমূহের সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দী। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অক্সফোর্ড থেকে ব্যারিস্টারি পাশ করে আসার পর কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে যোগ দেয়ার পাশাপাশি রাজনীতিতে নাম লেখান। তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে কলকাতা করপোরেশনের মেয়র নিযুক্ত হন। এরপর দেশ হওয়ার আগে তিনি বাংলার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন পাকিস্তানের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী।