Bangladesh
Trying to cooperate with Myanmar: Sheikh Hasina
মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের শান্তিনিরাপত্তায় কৌশলগত নীতিপ্রণয়ন নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়ালগ ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; এটা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি। আমরা এই নীতি নিয়ে কাজ করছি। এটা বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতি। মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের এখানে আশ্রয় নিয়েছে। এটা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়া করছি না। বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা মিয়ানমারকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই সমস্যার আশু সমাধান হওয়া প্রয়োজন। এটা আমাদের দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই সমস্যার গুরুত্ব বুঝে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী থাকলে সমস্যা থাকবে। কিন্তু সেটা সুন্দরভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যায়। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান সম্ভব। আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি। এটা বিশ্বের একটি উদাহরণ। শান্তি-স্থিতিশীলতা বজায় রাখলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা বজায় থাকে। এতে সবচেয়ে উপকৃত হবে এই অঞ্চলের মানুষগুলো।
মানুষের কল্যাণে সবাই মিলে কাজ করার জন্য তিনি সকল দেশের রাষ্ট্রনায়কের প্রতি আহ্বান জানান। জলবায়ু পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই। কিন্তু এর প্রভাবে আমরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। একদিন আগেই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করেছি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবেই এবং এটাকে মোকাবিলাও করতে হবে। আমরা সেটা করবও। দুর্যোগকালীন কী কী পদক্ষেপ নিতে হয়, তা আমরা জানি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি। সেই অর্থ দিয়েই দুর্যোগ মোকাবিলায় যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বীকৃতি আমাদের ধরে রাখতে হবে। সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৯৪ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। সবার ঘরে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।
সেমিনারে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ও বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মধ্যে কীভাবে যোগসূত্র স্থাপন করে বাংলাদেশসহ অন্যান্য সমমনা দেশগুলো তাদের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পথযাত্রা নির্ধারণ করতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা হবে। এতে প্রায় ৫০টি দেশের মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, আমলা, একাডেমিশিয়ান, বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিসহ প্রায় ২০০ জন অংশগ্রহণ করেন।