Bangladesh

TSC, Museum to be recreated

TSC, Museum to be recreated

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 21 Sep 2019, 01:28 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২১ : জাতীয় জাদুঘর, পাবলিক লাইব্রেরি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক)- এই চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা আরও বড় পরিসরে নতুন করে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অত্যাধুুনিক নকশায় এসব স্থাপনা নির্মিত হলে শাহবাগ থেকে ঢামেক পর্যন্ত স্থাপনায় নান্দনিক সৌন্দর্য আসবে।

গণভবন সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ছাত্রলীগের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যেও নেতৃৃত্বে দলটির শীর্ষ নেতাদের সাক্ষাৎ প্রদানকালে প্রধানমন্ত্রী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

নতুন করে এসব স্থাপনা নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই স্থাপনাগুলো হবে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত ও নান্দনিক সৌন্দর্যের। এরই মধ্যে পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে টিএসসি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬১ সালে। সব মিলিয়ে তখন শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৪-৫ হাজার। এখন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক সংখ্যা মিলিয়ে ৪০ হাজারের ওপরে। টিএসসির সুযোগ-সুবিধা এখন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য অপ্রতুল।


তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য টিএসসিকে আরও বড় ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্মিলিত করে দেওয়া হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো, সবাই যেন আরও বেশি খোলামেলা পরিবেশে কাজ করতে পারে।


অত্যাধুনিক ও আরও বড় করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ভবন অনেক পুরাতন। সেখানে রোগীর অনেক চাপ। এখানে আধুনিক বিল্ডিং করে দেওয়া হবে, যেন ৪-৫ হাজার রোগীকে এক সঙ্গে সেবা দেওয়া যায়।


নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘর এবং পাবলিক লাইব্রেরি পুরো এলাকাকে একই বাউন্ডারির মধ্যে নিয়ে আসা হবে। এখানে আরও বড় পরিসরে অণ্যাধুনিক সুবিধা সম্পন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।


সরকারপ্রধান বলেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী জাতীয় জাদুঘর ও পাবলিক লাইব্রেরি নির্মিত হলে এর নান্দনিক সৌন্দর্য মানুষকে আকর্ষণ করবে এবং আরও বেশি মানুষ এখানে আসতে পারবেন এবং আধুনিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ হতে পারবেন।


তিনি জানান, সেখানকার পুকুরটিকে এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যেন এটি মানুষকে প্রশান্তি এনে দেয়।


উন্নয়ন কাজগুলোর সুবিধার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এগুলো করা হলে এই এলাকার নান্দনিক সৌন্দর্য ফুটে উঠবে। মানুষ সার্বিকভাবে এর মাধ্যমে লাভবান হবে।