Bangladesh
Tungipara Express starts its journey
সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের গোবরা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৭৮৩নং টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন হয়ে রাজশাহী পৌঁছাবে মাত্র ছয় ঘণ্টায়। এই পথের দূরত্ব ২৫৬ কিলোমিটার। এরআগে বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ৭৮৩নং (আপ) টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে গোপালগঞ্জের গোবরা থেকে ছাড়বে।
পরবর্তীতে রাজশাহী থেকে ৭৮৪নং (ডাউন) টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেস বেলা ৩টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে এসে গোবরা পৌঁছাবে রাত ১০টায়।
ট্রেনটির যাত্রা উপলক্ষে গোপালগঞ্জ স্টেশনের আশেপাশের রাস্তা ও স্টেশন এলাকা সেজেছে অপরূপ সাজে। শুক্রবার (০২ নভেম্বর) থেকে সপ্তাহে দুইদিন বন্ধ থাকার পর বাকি দিনগুলো দক্ষিণাঞ্চল থেকে পশ্চিমাঞ্চল ছুটবে ট্রেনটি।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলী জানান, ১৯৩২ সালে রেলওয়ের রাজবাড়ীর কালুখালী থেকে গোপালগঞ্জের ভাটিয়াপাড়া রুটে ট্রেন চলাচল করতো। ১৯৯৭ সালের ১৯ আগস্ট ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়। তারপর কাশিয়ানী-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া নতুন রেললাইন প্রকল্প ২০১১ সালে পুনরুদ্ধার কাজ শুরু হয়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া রেলরুটে ৩২০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা ব্যয়ে রেলপথ কাজের উদ্বোধন করেন। পরে কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত রেললাইনে ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ হয় এই রেলপথের কাজ।
২ হাজার ১১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থেকে গোবরা পর্যন্ত ৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রেললাইনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয়। মধুমতি নদীর উপর একটি রেলসেতু, ছয়টি রেলস্টেশন, ৪৩টি কালভার্ট নিয়ে তৈরি এই রেলপথ। গত ২৭ সেপ্টেম্বর কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ হয়ে চরবয়রা পর্যন্ত নতুন রেললাইনে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালিয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।