Bangladesh
Two garments workers killed in Bangladesh road mishap
এরপর বাসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মালিবাগের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করে পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, বাসের ধাক্কায় দুই পোশাক শ্রমিক নিহতের ঘটনায় আবেগাপ্লুত হয়ে পোশাক শ্রমিকরা রাস্তায় নামেন। তারা যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বেপারোয়া হয়ে যানবাহন ভাঙচুর করে দুটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার নাজমুল আহত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যানবাহন চলাচল করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা যথেষ্ট সহনশীল ছিলাম।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১০টির বেশি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়। এর মধ্যে একটি স্বাধীন, দু'টি সুপ্রভাত, একটি তুরাগ ও একটি তরঙ্গ প্লাস, একটি নূরে মক্কা পরিবহন, একটি আকাশ সুপ্রভাত, দু'টি রাইদা ও প্রচেষ্টা পরিবহনের বাস রয়েছে। এ সময় প্রচেষ্টা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। বাসটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পুলিশের শতাধিক সদস্যকে আবুল হোটেলের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায়। মালিবাগ থেকে রামপুরা পর্যন্ত রিকশা ও সিএনজির সীমিতভাবে চলাচল করছিল।
ঘটনাস্থলে পুলিশের আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (সাঁজোয়াযান) আনা হয়। পুলিশ তাদের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা করে।
নিহতরা হলেন- নাহিদ পারভীন পলি ও ১৩ বছর বয়সী মিম। তাদের বাসা মালিবাগ পদ্মা সিনেমা হলের বিপরীতে। তারা এমএইচ গার্মেন্ট শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো।
মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় মালিবাগ রেলগেট থেকে আবুল হোটেলের মাঝামাঝি জায়গায় এ ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলি মারা যায়। পরবর্তীতে মিমের মরদেহ নিয়ে আসা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সুপ্রভাত পরিবহনের বাসটি সদরঘাট থেকে গাজীপুর যাচ্ছিল।