Bangladesh

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ পৃথিবীর বুকে আদর্শ নেত্রী, পেয়েছেন সম্মান

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আজ পৃথিবীর বুকে আদর্শ নেত্রী, পেয়েছেন সম্মান

| | 24 Sep 2016, 05:33 am
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৪ঃ উনি একজন নারী। তবে আজ বিশ্ব জুড়ে নিজের কাজের মাধ্যমে উনি হয়ে উঠেছেন এক আদর্শ নেত্রী। একা হাতে সামলে চলেছেন সব সমস্যা আর টার মাঝে একটি গোটা দেশকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন আরও বৃহৎ প্রগতির দিকে।
ইনি হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 

আজ নিজের কর্মের জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়ে চলেছেন উনি।

 

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে উনি এইবারের সফরে ‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন হাসিনা।

 

পাওয়ার পরে, হাসিনা এই সম্মানটি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করেছেন।



হাসিনা বলেন" "এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।"



ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে ‘প্ল‌্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারটি দেওয়া হয়েছে হাসিনাকে।



 গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম প্রধানমন্ত্রী  দিয়েছিলেন ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’।

হাসিনা বলেন যে উনি এই পুরষ্কারটি পেয়ে খুব সম্মানিত বোধ করেছেন।

  এই সফরে, নিউ ইয়র্কে উনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও উনি যোগ দেন।

হাসিনা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের আহ্বান করেছেন যে তারা যেন দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় উদ্যোগী হন।

উনি দেশের মানুষকে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে জাতিসংঘ মহাসচিবসহ সবাই এখন বাংলাদেশকে রোল মডেল হিসেবে দেখেন।
 
উনি বলেন ওনার সরকার এই দেশের  মাথা উঁচু করে বাঁচতে যা প্রয়োজন সকল পদক্ষেপ নেবে।

এই কথাগুলি হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের একটি হোটেলে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় বলেছেন।
 
উনি বলেন যে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত হেয়েছে।

শুধু দেশকে নতুন রুপে গড়া নয়, হাসিনা সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধেও বার বার সরব হয়েছেন।

একটি শান্তিপ্রিয় দেশের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা হওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে বেশ সাড়া পরে গেছিল।
জুলাই মাসের ১ তারিখ বাংলাদেশের মানুষের কাছে এক কথায় অভিশপ্ত  দিন।

গুলাশানে একটি রেস্তোরাঁয় হামলায় এক নিমেষে প্রাণ হারান ২০ জন মানুষ। এদের মধ্যে দেশের ছাড়াও বিদেশী মানুষজন ও ছিলেন।

তবে, আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টি হয়তো করেছিল এই ঘটনা। কিন্তু সেই ভয়ের পরিবেশে একটি দেশের মানুষকে লড়ে এই সমস্যার উত্তর বার করবার পথে সাহায্য করেন প্রধানমন্ত্রী নিজে।

নামটি ওনার শেখ হাসিনা।

গুলশান হামলার পর থেকে ওনার সরকার একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চেষ্টা করেছেন এই সমস্যার মোকাবিলা করতে।
বার বার মানুষকে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলেছেন যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।

তবে আজ আর শুধু দেশের মাটিতে নয়, হাসিনা বিশ্ব দরবারে মানুষকে আহ্বান করছেন এই সমস্যার সমাধান বার করবার জন্য।

সব দেশের মানুষকে এক সাথে লড়তে আহ্বান করেছেন উনি।

হাসিনা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যে তারা যেন সন্ত্রাসীদের অর্থ, অস্ত্রশস্ত্র ও নৈতিক সমর্থন না দেন।

এই কথাগুলি উনি আজ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনে নিজের ভাষণে বলেছেন।
 
নিজের বক্তব্য বাংলায় বলে, হাসিনা বলেন যে বাংলাদেশ মনে করে  যে সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্র নেই।

 "এদের সর্বতোভাবে সমূলে উৎপাটন করার সংকল্পে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে," হাসিনা বলেন।
 
প্রধানমন্ত্রী সবাইকে আহ্বান করেন বলেন  যে আগামীদিনে সন্ত্রাস ও সহিংস জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করতে হবে।

 উনি আরও বলেন যে এই সন্ত্রাসীদের পরামর্শদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী, মদদদাতা, অর্থ ও অস্ত্র সরবরাহকারী এবং প্রশিক্ষকদের খুজে বার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে।
 
উনি বলেন যে ওনার সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাস করে।
 
গুলশান হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে উনি বলেনঃ "আমরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি।"

বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশ্য  পৃথিবীজুড়ে শান্তি স্থাপনের পথের এগোনোর বার্তা দিয়ে উনি বলেনঃ "এক মানবতার জন্য কাজ করার উদ্দেশ্যে আমরা সকলে এখানে সমবেত হয়েছি। মতের ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আসুন আমরা মানবতার স্বার্থে অভিন্ন অবস্থানে উপনীত হই। বিশ্ব থেকে সংঘাত দূর করে শান্তির পথে এগিয়ে যাইদহরে

হাসিনার ও ওনার সরকারের হাত ধরে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ ও তাঁর প্রমাণ এখন শক্তিশালী প্রথমদিকের দেশগুলিও মেনে নিয়েছেন।

এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের এক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি বলে গেছেন যে বাংলাদেশ খুব শিগগিরি বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির ৩০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিতে পারে।
 
আর ওনার মতে এই স্থানে পৌঁছাতে বাংলাদেশকে হয়তো আর ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
 
দেশের মানুষকে এক নতুন আশা দিয়ে, এই কথাটি বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অব সাউথ এবং সেন্ট্রাল এশিয়া অ্যাঞ্জেলা অ্যাগিলার।
 
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে এই কথাগুলি বলেছেন উনি।
 
উনি বলেছেন বাংলাদেশ এই স্থানটি অর্জন করবার জন্য সঠিক পথেই এগোচ্ছে।
 
উনি বলেছেন এশিয়ার এক দেশটি গত কিছু বছরে প্রায় ১ কোটি মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
 
তবে এই পদক্ষেপে ইউএস এইড সংস্থাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছেন, বলে উনি মনে করেন।
 
আর এই উন্নতির পথে বাংলাদেশ সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অক্লান্ত কাজ করে চলেছে।
 
হাসিনা বার বার দেশের মানুষকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে ওনার সরকার সবার সেবা ও উন্নতি করবার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।
 
এই পথ ধরেই, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন কিছুদিনা আগে যে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মাসে কমেছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অগাস্টে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি  দাঁড়িয়েছিল ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশে।
 
গত বছর এই সময় এই সংখ্যা ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ।