Bangladesh
UK handing over 87 million pounds to Bangladesh to tackle Rohingya trouble
যুক্তরাজ্যের ৮৭ মিলিয়ন পাউন্ডের এ অতিরিক্ত সহায়তা আশ্রিত রোহিঙ্গাদের খাদ্য, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন,যৌন সহিংসুার শিকার ব্যক্তিদের সহায়তা ও কাউন্সেলিং প্রদান এবং অসহায় ব্যক্তিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে সহায়ক হবে।
এদিকে, অতিরিক্ত এ সহায়তার মধ্যে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড রোহিঙ্গা সংকটের কারণে কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর প্রভাব প্রশমনে তথা কক্সবাজার জেলার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। রোববার ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার জেলার সমগ্র জনগোষ্ঠী যাতে আন্তর্জাতিক সহায়তার সুফল পায়, তা নিশ্চিত করতেও যুক্তরাজ্য কাজ করছে। যুক্তরাজ্য সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সেক্রেটারি অলক শর্মার বরাত দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞাপ্ততে জানানো হয়, তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যে মানবিক সংকটের সম্মুখীন হয়েছিল তার আকার পরিমাপ করা খুব কঠিন। ভয়াবহ নির্যাতনের সম্মুখীন হয়ে ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা তাদের আবাস্থল ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়। এই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচানোর স্বার্থে খাদ্য, নিরাপদ পানি ও আশ্রয়সহ শিক্ষা ও কাউন্সেলিং প্রদানে ইউকে-এইড বাংলাদেশ সরকারের সাথে কাজ করছে।’
অলক শর্মা বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি হচ্ছে নারী ও কন্যা শিশু। এই অতিরিক্ত অনুদান সেই সকল নারী ও কন্যা শিশুদের জন্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসুা ও মানব পাচার থেকে রক্ষা পাওয়া নারী ও কন্যা শিশুদের জন্য নতুন জরুরি আশ্রয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহায়তা প্রদান করবে। তিনি বলেন, ‘আজকে যে অতিরিক্ত সহায়তা ঘোষণা করা হল তা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের অটুট অঙ্গীকারই ব্যক্ত করে।’
অপরদিকে বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেন, ‘যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মাঝে একটি দৃঢ় ও টেকসই অংশীদারিত্ব বিদ্যমান, যা বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে ওঠার রূপান্তরের সাথে গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ যে অসাধারণ উদারতা এবং মানবুা প্রদর্শন করেছে আমরা তার প্রশংসা করি।’