Bangladesh
UNICEF welcomes decision to release prisoner children
বাংলাদেশের শিশু আদালতগুলো আইন অমান্যের অভিযোগ থাকা শিশুদের বিচার দ্রুত করছে, যাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে তাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলো থেকে মুক্তি দেয়া যায়।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইউনিসেফ জানায়, গত মার্চে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার পর থেকে আটক শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। এ সংখ্যা কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রগুলোর ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ।
ছোটখাটো অপরাধের বিচার বা সাজার অপেক্ষায় থাকা এক হাজারের বেশি শিশু বর্তমানে তিনটি কেন্দ্রে আটক রয়েছে।
কেন্দ্রগুলোতে সীমিতসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও লজিস্টিকস সহায়তা, প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল পানি, পয়ঃনিষ্কাশন ও হাইজিন সুবিধা থাকার ফলে সেখানকার শিশু ও কর্মীদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বা সেলফ আইসোলেশনের পক্ষে খুবই কঠিন। এসব কেন্দ্র সংক্রমণের হটস্পট হয়ে উঠতে পারে।
শিশুদের সর্বোত্তম স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি গত ৯ মে ভার্চুয়াল আদালত চালুর অধ্যাদেশ জারি করেন এবং ১২ মে বাংলাদেশে প্রথম ভার্চুয়াল শিশু আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। এই আদালতের কার্যক্রম পরিচালনায় সমাজসেবা অধিদফতর এবং কেন্দ্রগুলোতে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ।
বুধবার (১৩ মে) প্রথম দফায় সাত শিশুর মুক্তির পথ অনুসরণ করে আগামী দুই সপ্তাহে বেশ কয়েকশ শিশু মুক্তি পেতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই শিশুরা যাতে তাদের পরিবারের সঙ্গে পুনরায় মিলিত হতে পারে সেজন্য পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ এবং তাদের নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে সহায়তার লক্ষ্যে সমাজসেবা অধিদফতরের সঙ্গে কাজ করছে ইউনিসেফ।