Bangladesh
Urges made to buy 50 lakh tonne wheat
কৃষকের ক্ষতি পোষাতে সরকারকে ৫০ লাখ টন ধান কেনার পাশাপাশি আসন্ন বাজেটে কৃষি খাতে ২৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাকশন এইড-এর সহায়তায় খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ধানসহ কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক এক জাতীয় সংলাপে এসব দাবি করেন বক্তারা।
‘খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ’ ও ‘পিকেএসএফ’র চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংলাপে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ, সাবেক কৃষি সচিব আনোয়ার ফারুক, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. মো. আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃষির যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি কৃষকের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হলে স্থায়ী মূল্য কমিশন গঠন করা দরকার। আরও দরকার শক্তিশালী কৃষক সংগঠন।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, উন্নত দেশগুলোতেও সরকার খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক ভর্তুকি দেয়। আমাদের সরকারও এক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে থাকে, কিন্তু এর সুফল আমাদের কৃষকরা সেভাবে পান না মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে। এর একটা বড় কারণ হলো কৃষকরা এ দেশে অসংগঠিত।
আনোয়ার ফারুক বলেন, আমাদের কৃষিপণ্য পরিবহন ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমস্যা রয়েছে। বোরো ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বলে দাবি করি। কৃষিক্ষেত্রে যা-ই ঘটুক, আমাদের প্রেক্ষাপটে ধান চাষ অব্যাহত থাকবেই। বর্তমানে শ্রমিকের মজুরি গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর বিপরীতে সরকারের ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতা কৃষককে সংকটে ফেলে দিয়েছে। এ মুহূর্তে কৃষককে তিন-চার মাসের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের স্থানভেদে বিকল্প কৃষি উৎপাদনের দিকে মনোযোগী হতে হবে।
সায়েমা হক বিদিশা বলেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মূল্য কমিশনের বেঁধে দেয়া সুনির্দিষ্ট মূল্যে সরকারিভাবে প্রচুর পরিমাণ ধান ক্রয় করা হয়। আমাদের দেশেও এ কমিশন গঠন করে সুফল পেতে পারি। ধান আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমানো-বাড়ানোর তাৎক্ষণিক সুফল কৃষকরা পান না। এক্ষেত্রে গবেষণা ও মূল্যায়নের প্রয়োজন রয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্ভব।