Bangladesh

US Bangla airlines makes emergency landing

US Bangla airlines makes emergency landing

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 26 Sep 2018, 08:58 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৭ : ঢাকা থেকে ১৭১ জন আরোহী নিয়ে কক্সবাজারের পথে রওনা হওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে চট্টগ্রামে জরুরি অবতরণ করেছে।

জানা যায়, বুধবার বেলা ১১টা ৪৮ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ১৪১ কক্সবাজারে নামার কথা ছিল বেলা সাড়ে ১২টায়। কিন্তু নোজ হুইল আটকে যাওয়ায় পাইলট কক্সবাজারের আকাশে কয়েকবার চক্কর কেটে সেখানে না নামার সিদ্ধান্ত নেন। পরে উড়োজাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসে এবং বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি অবতরণের জন্য সব প্রস্তুতি নেয়। বেলা ১টা ২০ মিনিটে বোয়িং ৭৩৭-এইটকিউএইট উড়োজাহাজটি শাহ আমানতের রানওয়েতে সামনের চাকা ছাড়াই জরুরি অবতরণ করে। ওই ফ্লাইটে ১৬৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১১টি শিশু ছিল।


চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, বোয়িং ৭৩৭-এইটকিউএইট উড়োজাহাজটির নোজ গিয়ার নামছিল না। এ কারণে কক্সবাজারে নামতে না পেরে চট্টগ্রামে আসে। নোজ গিয়ার না নামিয়েই নিরাপদে ল্যান্ড করে বিমানটি। আরোহীরা সবাই নিরাপদ। মুলত: পাইলটৈর দূরদর্শীতায় বিমানের যাত্রীরা অক্ষতাবস্থায় রক্ষা পেয়েছেন। এজন্য তারা সবাই তার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রাম বিমান বন্দরে নামানোর আগে বিমানের পাইলট কক্সবাজার বিমানবন্দরের চারপাশে ঘুরেছেন আটবার। অবতরণ করতে না পেরে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর প্রদক্ষিণ করেছেন আরও দুবার। ফ্লাইটে থাকা ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু’র জীবন ছিল তার হাতে। ঠান্ডা মাথায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও কৌশল কাজে লাগিয়ে তিনি নিরাপদে কক্সবাজারের ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দওে নামান।


১৭১ আরোহীর প্রাণ বাঁচানো এই মহানায়কের নাম এখন সবার মুখে মুখে। তিনি ইউএস-বাংলার বিএস-১৪১ ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। তিনি বলেন, এটা একটা ইমার্জেন্সি সময় ছিল। ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমাদের সবচেয়ে বেশি ট্রেইনড করানো হয়। যেভাবে ট্রেনিং দেয়া হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই অ্যাকশনটা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘প্রশিক্ষণ থাকলেও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় অবশ্যই পাইলটের কিছু কৌশল থাকে। আমি চেষ্টা করেছি, যতখানি নিরাপদ থাকা সম্ভব এবং কোনো ধরনের ক্ষতি যাতে না হয়। সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই ল্যান্ডিংয়ের চেষ্টা করেছি।’


জাকারিয়া বলেন, ‘ল্যান্ডিং করতে না পারলে কৌশল হচ্ছে ফুয়েল (তেল) কমাতে হবে। এ সময় ফুয়েল যত কমানো যায় ততই সেফ। ল্যান্ডিংয়ের সময় যদি আগুন লাগে, ফুয়েল না পেলে আগুনের তীব্রতা থাকবে না। এছাড়া এয়ারক্রাফট যতো হালকা থাকবে ঘর্ষণও কম হবে। তাই তেল কমানোর চেষ্টা করেছিলাম।’