Bangladesh

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচোনা চাইল বিএনপি

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে আলোচোনা চাইল বিএনপি

| | 13 Jan 2018, 09:41 am
ঢাকা, জানুয়ারি ১৩ঃ আজ বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশের দউদ্দেশে বক্তৃতায় নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের বিষয়টিতে আলোচনার ডাক দিয়েছে।

দশম সংসদ নির্বাচনে বর্জনের পরও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য বার বার দাবি জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার বিএনপি।

 

জিয়া ওই সরকারের রূপরেখা দেবেন এমনটি বললেও তা পরিষ্কার করেনি এখনও।

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আজ প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেনঃ "প্রধানমন্ত্রী যদি আন্তরিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে নতুন কিছু ভেবে থাকেন, তাহলে তার উচিৎ হবে এ নিয়ে সকল স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নেওয়া।"

 

“আমার দল মনে করে, একটি আন্তরিক ও হৃদ্যতাপূর্ণ সংলাপের মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে অর্থবহ সমাধানে আসা সম্ভব। দীর্ঘকাল যাবত সকল বিরোধী দল ও সুশীল সমাজসহ সব দলের অংশ গ্রহণে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পদ্ধতি নির্ধারণের দাবি জানাচ্ছি," উনি বলেন।

 

সরকারের চারবছ্র পূর্ণ হওয়াতে আজ দেশের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 

ভোটের বছরের শুরুতেি আজ মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখলেন হাসিনা।

 


উনি আশা প্রকাশ করেছেন জে আগামী নির্বাচনে সমস্ত দলকেি পাবেন।

 

তবে, আজ উনি আরেকবার পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে সংবিধান মেনে- অর্থাৎ তার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই চলতি বছর শেষে একাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

 

নিজের বক্তব্যে হাসিনা বলেনঃ "আমি আশা করি, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সকল দল আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবেন এবং দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে সমুন্নত রাখতে সহায়তা করবেন।”

 

বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে আজকে হাসিনার বক্তব্য সম্প্রচারিত হয়।

 

তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন উনি।

 

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সরকার প্রধান হিসেবেও নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন উনি।

 

নিজের তিনটি মেয়াদে মোট ১৪ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন উনি।

 

নির্বাচনের বিষয় উনি আরও বলেনঃ "সংবিধান অনুযায়ী ২০১৮ সালের শেষ দিকে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কীভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে।"

 

নির্বাচনের আগে 'নির্বাচনকালীন সরকার’ গঠন করা হবে, জানান হাসিনা।

 

নির্বাচন পরিচালনার জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বোতভাবে সহায়তা দিয়ে যাবে বলে বিশ্বাস করেন হাসিনা।

 

দেশে নির্বাচনকে লক্ষ্য করে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা যাতে না হয় সেই বিষয় সতর্ক থাকতে বলেন হাসিনা।

 

উনি বলেনঃ "জনগণ অশান্তি চান না। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনের নামে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবেন- এটা আর এদেশের জনগণ মেনে নেবেন না।”

 

দেশের মানুষের উদ্দেশে, হাসিনা বলেনঃ "আপনারাই সকল ক্ষমতার মালিক। কাজেই লক্ষ্য আপনাদেরই ঠিক করতে হবে- আপনারা কী চান! আপনারা কি দেশকে সামনে এগিয়ে যাওয়া দেখতে চান, না বাংলাদেশ আবার পিছনের দিকে চলুক তাই দেখতে চান।"

 

দেশকে উন্নতির পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য উনি লড়বেন এই প্রতিশ্রুতি আবার একবার মানুষকে দেন উনি।

 

"আমরা সব সময়ই আপনার পাশে আছি," দেশের মানুষের উদ্দেশে হাসিনা বলেন।

 

সকল লক্ষ্য পূর্ণ ওনার সরকার করবেন এই বিষয়টি তুলে ধরে, হাসিনা বলেনঃ "লক্ষ্য পূরণের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়ন করে সেগুলো বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।”