Bangladesh
VC of Rabindra university asked to refrain from work
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বুধবার হাইকোর্টেও বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম ছোটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোতাহের হোসেন সাজু।
শাহজাদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা ড. মো. জামিনুর রহমান রিটটি করেন। রিটে বলা হয়, ২০১৬ সালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আইন পাস হয়। আইনের ১(২) ধারায় বলা হয়েছে, সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিখে এ আইন কার্যকর হবে। কিন্তু প্রজ্ঞাপন জারির আগেই ভিসি পদে নিয়োগ দেয়া হয় অধ্যাপক ড. বিশ্বজিণ ঘোষকে। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেন। একই বছর ২৮ মার্চ সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এবং চলতি বছর ১১ মার্চ শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। ঢাকার ধানমন্ডিতে স্থাপিু লিয়াজোঁ অফিসের ঠিকানায় এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে গণ ৯ এপ্রিল রিট আবেদনকারী মো. জামিনুর রহমান নানা অনিয়ম তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বরাবর প্রতিকার চেয়ে একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরেও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় সংক্ষুব্ধ হয়ে প্রজ্ঞাপন ছাড়া কার্যক্রম পরিচালনা এবং তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বৈধুা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তিনি। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।