Bangladesh

সিভিল সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া হবে মানুষকে

সিভিল সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, আরও ভালো পরিষেবা দেওয়া হবে মানুষকে

| | 14 Sep 2016, 11:48 pm
ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৫- দেশের মানুষকে আরও ভালো সেবা করবার উদ্দেশে বাংলাদেশ সরকার মাঝেই মাঝেই নতুন পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন।

আর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মাটিতে যে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে তা বজায় রাখার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

 


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হার্ভাড কেনেডি স্কুলের এক বিশেষ সমঝোতা  চুক্তি সই হয়েছে।

 

 


এই সমঝোতা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছে।


বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় নতুন এক দিন আরম্ভ করে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট ডিন ডেবরা ইলস এই সমঝোতা স্মারক সই করেছেন।

 


সংবাদ মাধ্যমকে পাঠানো নিজেদের বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রালয় জানিয়েছেন যে এই চুক্তির ফলে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।

 


সরকার মনে করছে যে এই প্রশিক্ষণ নিলে, দেশের সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ছাড়াও উচ্চ শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত হবে।

 


এই পদক্ষেপের ফলে বোঝা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মাটিতে  দক্ষ ও সেবামুখি জনপ্রশাসন তৈরি করবার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের উপর বিশেষ নজর দিয়েছেন।

 


ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাসিনা ও ওনার সরকার বাংলাদেশকে আরও উন্নত দেশ তৈরি করবার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন।

 


আর এর ফলে বিদেশের বহু দেশ হাসিনার প্রশংশাও করছেন।

 


কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবার পা রেখেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

 

সফরে এই দেশের বহু নেতার সাথে সাক্ষাৎ করেন উনি।

 

তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে উনি সেই অভিজ্ঞতাকে 'আনন্দদায়ক' বলে মন্তব্য করেছেন।

 

নিজের টুইটার পেজে লেখেন, "বাংলাদেশের একটি অসাধারণ উন্নয়ন গল্প আছে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করতে পেরে আনন্দিত।"

 

উনি জানিয়েছেন বাংলাদেশের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।

 

"নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সমর্থন থাকবে," উনি বলেন।

 

- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নপূর্ণ করতে ওনার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, মন্তব্য করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।

 

বাংলাদেশে আসার পরে, কেরি আজ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর দেখেতে যান।

 

উনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

 

জাদুঘরের দর্শনার্থী বইয়ে কেরি লিখেছেনঃ "বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের পথে তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে।"

 

উনি আরও লেখেনঃ "যুক্তরাষ্ট্র এই দেশের বন্ধু হতে পেতে গর্বিত। আমরা তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণে দৃঢ় সমর্থক। আমরা শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।"

 

শুধু কেরি কেন? বাংলাদেশের পাশের রাজ্য ভারতও এগিয়ে এসেছে হাসিনার প্রশংশা করতে।

 

দেশে মাটিতে গুলশানের মত জঙ্গি হালার ছায়ায়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলেছেন যে উনি যেন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেকে একা না ভাবেন।

 

একটি ভিডিও কনফারেন্সের সময়, হাসিনার প্রশংসা করে, মোদী বলেনঃ "আপনার নেতৃত্ব পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ।"

 

মোদী বলেন ভারত ও বাংলাদেশের বিকাশের পথও একসঙ্গে জড়িত আছে।

 

শুধু মোদী নয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কিছুদিন আগে আগরতলাতে এসে সাংবাদিকদের বলেনঃ "বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক এখন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।"

 

উনি হাসিনা ও ওনার সরকারের প্রশংসা করে বলেনঃ "বাংলাদেশে একটি দায়িত্বশীল সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীনে কাজ করে চলেছে।"

 

"তারা  আমাদের দেশের সঙ্গে একটি খুব বন্ধুসুলভ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে চান," উনি বলেন।


এখন বোঝাই যাচ্ছে যে বাংলাদেশের সম্পূর্ণ উন্নতির জন্য কিভাবে একজন মানুষ লড়াই করে চলেছেন।


বলাই যায় যে শেখ হাসিনা ও ওনার সরকার আস্তে আস্তে বাংলাদেশকে নতুন ভাবে গড়ে তুলছেন।