Bangladesh
Villagers kill foxes
বৃহস্পতিবার বিকেলে খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পাঠানো প্রতিনিধি দলের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান গ্রামবাসী।
স্থানীয়রা জানান, গুনাকরকাটি গ্রামে কিছুদিন ধরে শিয়ালের উপদ্রব দেখা দেয়। ঘরের বারান্দায় শুয়ে থাকার সময় রেজাউল করিমের স্ত্রী নাছিমাকে শিয়াল কামড় দিলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি কাশেম গাজীর স্ত্রীকে পাঁচটি শিয়াল তাড়া করলে অজ্ঞান হয়ে যায়। গ্রামের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাতয়াতের পথে শিয়ালের তাড়া খেয়ে ভীত হয়ে পড়ে। এছাড়া গ্রামেরহাঁস-মুরগি ও ছাগল শিয়াল ধরে নিয়ে যায়। এতে গ্রামের সবাই মিলে শিয়াল ধরা ও তাড়ানোর পরিকল্পনা করে। এরপর তারা একত্রিত হয়ে বুধবার ছয়টি শিয়াল ধরে পিটিয়ে হত্যা করে।
গ্রামবাসী জানান, আইন সম্পর্কে তারা কিছুই জানতেন না। ভুলবশত ছেলে-মেয়েরা কয়েকটি শিয়াল মেরে ফেলেছে। এজন্য তারা দুঃখিত ও মর্মাহত। ভবিষ্যতে তারা এমন কাজ আর করবেন না।
এদিকে, বন্যপ্রাণি হত্যার ঘটনাটি জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফার তাসনীনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দেন। তার নির্দেশনা মতে, পুলিশকে নির্দেশ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। এর মধ্যে বিকেলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বনবিভাগ খুলনা অঞ্চলের আরেকটি প্রতিনিধি দল।
আশাশুনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, গুনাকরকাটি বাজারে উপস্থিত শত শত মানুষ বন্যপ্রাণি আর নিধন করবেন না মর্মে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বন্যপ্রাণি আইন সম্পর্কে বিস্তারিত অবহিত করা হয়েছে তাদের। ভবিষ্যতে পশু বা বন্যপ্রাণি মারা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়।