Bangladesh
Want to make an amazing Bangladesh: Sheikh Hasina
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (সুড়ঙ্গ পথের) নির্মাণের বোরিং (খনন) কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে একথা বলেন। তিনি বলেন, ‘কোন নামও চাই না, কোন ধন-সম্পদও চাই না, কিচ্ছু চাই না। বাংলাদেশের জনগণ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, এটাই আমার চাওয়া। সে কারণেই চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু করার যেন বাংলাদেশের মানুষ সম্মানের সাথে চলতে পারে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেত বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এবং বাংলাদেশে চিনের রাষ্ট্রদূত জ্যাং জোউ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতা কখনও ব্যর্থ হতে পারে না উল্লেখ করে ’৭৫ পরবর্তী শাসকদের অপশাসনের প্রসঙ্গ টেনে সরকার প্রধান বলেন, ‘হ্যাঁ মাঝে ২১টি বছর বাঙালির জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। অসম্মানের চরম অবস্থায় বাংলাদেশ চলে গিয়েছিল। আমরা সেই অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে আবার ফিরিয়ে এনে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশকে গড়ে তুলছি। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আবার নতুন প্রজন্ম জানতে পারছে এবং দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ উন্নয়নের নুুন ধাপে প্রবেশ করলো। টানেলটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে শহরাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করবে। কাজেই আরো ১০ কিলোমিটার সড়ক করা গেলে এটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চারলেন সড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ সময় তিনি প্রকল্পটি রিভাইস করে এই সড়ক নির্মাণ করার জন্যও সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষকে নির্দেশ দেন।
টানেল নির্মাণ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, চীন সফরে গেলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। আলোচনার পর ওইদিনই তাঁরা টানেল নির্মাণের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তিনি বলেন, চীন সরকার সাধারণত ঋণের ৮৫ ভাগ দিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য শতভাগ সহায়তা দিয়েছে তারা। বাংলাদেশের আগ্রহ দেখে চীনের প্রধানমন্ত্রী এ সহযোগিতা দিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্টও বেশ সহযোগিতা করেছেন। চীনের এই সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশের এই মহাযজ্ঞে প্রবেশ করা সম্ভব হয়েছে।