Bangladesh

War criminals and their alliances should not be voted

War criminals and their alliances should not be voted

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Dec 2018, 05:24 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২০: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কাছাকাছি সময়ে এসে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসরদের ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম’ নামে একটি সংগঠন।

সংগঠনের নেতারা বলেন, আগে যাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের জানতাম তারাও আজ স্বাধীনতাবিরোধীদের পক্ষে কাজ করছেন। রাজধানীর শাহবাগে বুধবার আয়োজিত এক মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান। সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মাজহারুল কবির শয়ন বক্তব্য দেন। এ সময় সংগঠনের সাব্বির হোসেন, মিমু দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

নেতারা বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে মেরুকরণ হয়েছে সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নামে একটি জোট গঠিত হয়। আমরা তরুণ প্রজন্ম বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াত ইসলাম থেকে ২২ জনকে মনোনয়ন দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।

 

ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনয়ন প্রাপ্তদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও অভিযুক্ত পরিবার থেকে প্রার্থী রয়েছে ১০ জনের মতো। যা আমাদের ব্যথিত করে। আমরা ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে থাকা ড. কামাল হোসেন ও আ স ম আব্দুর রবদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ হিসেবে জানতাম। সেই জায়গা থেকে আমরা ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত তরুণ প্রজন্ম’-র প্রতিনিধি দল কয়েকটি জোর আবেদন নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে দেখা করি।

 

আমাদের আবেদনের মধ্যে ছিল- জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ নিয়ে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা, জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের সঙ্গ ত্যাগ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতকারীদের সঙ্গ ত্যাগ। আবেদন সমূহের বিষয়ে অবগত হওয়ার পর ড. কামাল হোসেন ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। ফলে আমরা তরুণ প্রজন্ম মনে করি, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা হওয়া দরকার।

 

সেই লক্ষ্যে আমাদের উত্থাপিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা নতুনভাবে বলতে চাই, আগামী সরকারের মেয়াদেই হবে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। এ সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালনের সময় স্বাধীনতাবিরোধী বা স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কেউ জাতীয় সংসদে এমপি হিসেবে থাকুক আমরা তা চাই না। আমরা অতীত অভিজ্ঞতায় দেখেছি- কীভাবে স্বাধীনতাবিরোধী বা যুদ্ধাপরাধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেয়া হয়েছে। ফলে বেদনাবিদ্ধ হৃদয়ে আমাদের অর্জিত, পঙ্কিলতাপূর্ণ ইতিহাসের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে।