Bangladesh
We are coming back: Sheikh Hasina tells ABP
এদিন নির্ধারিত হবে আগামী মেয়াদে দেশের শাসন ক্ষমতায় কে আসছেন। তবে নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অনেকটা আত্মবিশ্বাস নিয়েই বলছেন, ‘তার দল আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসছে।’ কলকাতার জনপ্রিয় পত্রিকা আনন্দবাজারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
বুধবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডির সুধাসদনে একান্ত সাক্ষাৎকারে বর্তমান নির্বাচন ও বাংলাদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের উপর আমার বিপুল আস্থা। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। জনগণের ভোটেই আমরা নির্বাচিত হব।’ এতটা নিশ্চিত কিভাবে হচ্ছেন? -এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ২০১৩-র নির্বাচনে প্রায় ৬শ’ স্কুল পোড়ানোর কথা বাংলাদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। মুছে যায়নি প্রিসাইডিং অফিসারসহ অজস্র নাগরিককে হত্যার স্মৃতি। রাস্তা কেটে মানুষের যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময়ে জনগণই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন, ভোটও দিয়েছিলেন। সেই জনগণ আবারও আমাদেরই ভোট দেবেন।
দেশের যুব সম্প্রদায় আওয়ামী লীগ সম্পর্কে খুবই উৎসাহী বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। বলেন, বাংলাদেশে মানুষের মন থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটাই মুছে ফেলা হয়েছিল। এখনকার নতুন প্রজন্মের মধ্যে সত্যকে জানার একটা আগ্রহ রয়েছে। ইন্টারনেটে খুঁজলেই একাত্তরের অনেক তথ্য এখন জানা যায়। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার বিষয়টি এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে আওয়ামী লীগের প্রতি যুব সম্প্রদায়ের মতটাই পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা আগের মতো অত চ্যালেঞ্জিং নয়। বৈরীতার পরিবেশও নেই। বরং আমাদের স্বপক্ষে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আগের নির্বাচনগুলোয় একটা বিভেদ লক্ষ্য করতাম। এবার কিন্তু একচেটিয়াভাবে সকলের সমর্থনটা আমাদের সঙ্গে রয়েছে। সেটা টেরও পাচ্ছি।’
পাকিস্তান প্রসঙ্গেও কথা বলেন শেখ হাসিনা। তার দাবি, বাংলাদেশে কিছু পাকিস্তানপ্রেমী মানুষ আছেন। ‘যুদ্ধাপরাধীদের মন পড়ে আছে পাকিস্তানে’ -এমন মন্তব্য করার পাশাপাশি জানান, তারা (আওয়ামী লীগ) সতর্ক আছেন। কারও সঙ্গে বৈরীতা করতে না চাইলেও দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে কাউকে কোনোভাবেই নাক গলাতে দেবে না বাংলাদেশ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ‘অসন্তোষ’ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। ড. কামাল হোসেনকে বাংলাদেশের সংবিধান রচয়িতা বলা হয়। তিনি আওয়ামী লীগ থেকে চলে গিয়ে নিজে দল গঠন করেছেন। ধানমন্ডি থেকে একবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে জামানু বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। শেখ হাসিনার কথায়, ‘সেই তিনি (ড. কামাল হোসেন) কিনা গেলেন জামায়াত-বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে! তবে আমি অবাক হইনি। কারণ কী জানেন? ওর শ্বশুরবাড়ি পাকিস্তানে। ছেলেদের একটু শ্বশুরবাড়ির টানটা বেশি থাকে।’