Bangladesh
Won't allow players to live a troublesome life at the end: Hasina
মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন। একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর এসব বার্তা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্রিকেটাররা দেশের জন্য খেলছে। সাকিব-মাশরাফিদের নৈপূণ্যে বিশ্ব দরবারের বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়ছে। তাই তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো হবে। অবসর জীবনে খেলোয়াড়রা যেন আর্থিক সমস্যায় না ভোগেন সেদিকে দৃষ্টি দেয়ার তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, অনেক খেলোয়াড় অবসর সময়ে নানা ধরনের আর্থিক সমস্যায় ভোগেন। তারা বার্ধক্যজনিত কারণে যাতে আর আর্থিক সমস্যায় না পড়েন, সে জন্য বড় বড় ব্যবসায়ীরা যেন তাদের চাকরি দেয়, সে ব্যবস্থা করা হবে।
এছাড়া খেলোয়াড়রা যেন সারাবছর প্রশিক্ষণ নিতে পারে, সে জন্য ফান্ড গঠন করতে অর্থসচিব আব্দুর রউফ তালুকদারকে নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
একনেক বৈঠকে তিনি বলেন, শুধু ক্রিকেট নয়, ফুটবলসহ সব খেলাধুলার উন্নয়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খেলোয়াড়দের জন্য তহবিল থাকতে হবে। ভলিবল, শ্যুটিং, আর্চারি, সাঁতার সব ধরনের খেলায় উন্নতি করতে হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আরেকটা প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য- খেলা আসলেই প্র্যাকটিস শুরু হয়। তারপর আর খবর নাই। তার কথা হলো যে খেলোয়াড় পেশাজীবী, সে সারা বছরই প্র্যাকটিস করবে। খেলোয়াড় তো নিজের পয়সায় করবে না, কেন করবে? তিনি চান, একটা ভালো তহবিল থাকবে। যেন এই তহবিলের আওতায় তারা সারা বছর প্র্যাকটিস করতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, তাদের (খেলোয়াড়) কর্তৃপক্ষ আছে, তারাই এটা করবে। সরকার শুধু টাকা দেবে। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সরাসরি অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন এর জন্য একটি বিশেষ তহবিল গঠন করতে হবে।