Bangladesh

Word Community may play crucial role in solving Rohingya problem

Word Community may play crucial role in solving Rohingya problem

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 09 Sep 2018, 05:39 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ৯: জোরপূর্বক বিতাড়িত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্বদেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক-সহ (আইডিবি) বিশ্ব সম্প্রদায়কে সুনির্দিষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ঢাকায় আইডিবির ‘রিজিওনাল হাব’ উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) সলে রাজধানীর হোটেল র‌্যাডিসনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।


বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে বলেন, মিয়ানমারকে চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য চাপ অব্যাহত রাখার জন্য আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সুনির্দিষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।


রোহিঙ্গা ইস্যুতে আইডিবি চুপ থাকতে পারে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সা.) নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি, তখন আইডিবি চুপ থাকতে পারে না। কাজেই জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিরাপদে স্বদেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার জন্য আইডিবিকে আমি দৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।


শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে একটি মানবিক সংকট মোকাবিলা করছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নিপীড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশ সীমান্ত উম্মুক্ত করে দিয়ে তাদের প্রবেশ করতে দিয়েছে। নিজস্ব সম্পদ, বাস্তুসংস্থান ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উপর ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে জানা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী অনুপ্রবেশ করতে দিয়েছে।
মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, এখন আমরা তাদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে চাই।
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে হত্যা, জ্বালাও-পোড়াওয়ের মুখে গত বছরের ২৫ অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত সাত লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
রাখাইনে সেনাবাহিনীর ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল অভিযান’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গারা তাদের আবাসভূমি ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে এখন প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে। 


জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আইডিবির সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সেক্টরে বিনিয়োগের চাহিদা, বর্তমান অবস্থা ও ঘাটতি পর্যালোচনা করার জন্য কান্ট্রি ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (২০১৬-২০২১) গ্রহণ করা হয়েছে।


বিনিয়োগ পরিকল্পনা মতে সম্পূর্ণ মেয়াদে মোট ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রয়োজন। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উৎস থেকে এ পর্যন্ত ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে। অর্থাৎ আরও ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।


জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের নিজস্ব উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন এবং অভিযোজন করার জন্য ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কর্মকৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’র আওতায় বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ গঠন করেছি।
দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশের সাফল্য ও বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত যে কোনো ইস্যুতে বাংলাদেশ অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাষ্ট্র।


বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ-জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আবাসন, অবকাঠামো, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরেন।   

 

Image: UN website