Bangladesh

World Bank, UN chiefs to visit Dhaka tomorrow

World Bank, UN chiefs to visit Dhaka tomorrow

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 30 Jun 2018, 05:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, জুন ৩০ : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুটেরেস এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম আগামীকাল ১ জুলাই ঢাকা সফরে আসছেন।

অপরদিকে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান ফিলিপো গ্র্যান্ডি আজ শনিবার আসছেন।  জাতিসংঘ মহাসচিব এবং বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট রোববার ২ জুলাই  রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখার জন্য কক্সবাজার যাবেন। এই সফরকালে তাদের কাছে রোহিঙ্গা সমস্যার সৃজনশীল সমাধান এবং বাংলাদেশকে তার অসুবিধা থেকে দ্রুত মুক্তিদানের আহ্বান জানানো হবে।


পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, গুটেরেস ২০০৮ সালে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসাবে কক্সবাজার সফর করেছেন এবং তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার আদ্যপান্ত জানেন। তিনি বলেন, ‘আমরা তাকে (জাতিসংঘ মহাসচিবকে) জানাবো, মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ যা করেছে তার জন্য যেন আমাদের শাস্তি দেওয়া না হয়।’


কর্মকর্তা জানান, ইউরোপের অনেক দেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ শরণার্থীদের জন্য তাদের দরজা বন্ধ রাখলেও বাংলাদেশ মানবতার খাতিরে সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছিল যাতে করে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয় পায়। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে এবং এদের জন্য যে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে সেটি কোনও উপকারে আসছে না।


তিনি বলেন, ‘আমরা সহায়তা চাই না বরং আমরা এর রাজনৈতিক সমাধান চাই যাতে করে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে চলে যেতে পারে এবং এজন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সৃজনশীল সমাধান বের করতে হবে।’ রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিতে হবে। যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মনে করে- রোহিঙ্গারা নিরাপদে আছে এবং এটি অনাদিকাল চলবে, তবে তারা বাংলাদেশের প্রতি অবিচার করবে।’


এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বলেন, বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হয় এবং অপরাধীদের দায়বদ্ধতা না থাকে, তবে এ ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে।’


উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলির সঙ্গে তিনি কক্সবাজার যাবেন।  এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘মহাসচিব এবার মিয়ানমার সফর করবেন না এবং আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে তিনি মিয়ানমারকে একটি নেতিবাচক বার্তা দিচ্ছেন।’