Bangladesh

বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টকে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান

বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টকে সুষ্ঠু ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান

BNP,Jamaaat,OikyoFront urged to maintain peace | @banglalivenews | 26 Dec 2018, 11:00 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ২৭: বিএনপি-জামায়াত-ঐক্যফ্রন্টকে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।


সংবাদ সম্মেলনে নানক বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শভিত্তিক রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠানোর অপচেষ্টা হয়েছিল। আরও ভালোভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চার ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বিদ্যমান ছিল না।

 

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা স্বৈরাচার মেজর জিয়া বলেছিলেন, ‘আমি রাজনীতিকে রাজনীতিবিদদের জন্য কঠিন করে তুলবো।’ উনি সেদিন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনীতির ধারা ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করেছিলেন।

 

তার অনুসারী বিএনপি আজও  সেই অপরাধের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছে। এই আদর্শিক সংকট থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের নৈতিক উত্তরণ না ঘটলে বাংলাদেশে সুস্থ রাজনীতির লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ফিরিয়ে আনা কি এণ সহজ?

 

বিএনপি-জামায়াতের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্টের ষড়যন্ত্র সম্পূর্ণ বন্ধ না হলে, নির্বাচনের পরিবেশ ও ভোটারদের নিরাপত্তা বিঘিœত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। আমরা বিএনপি-জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টকে আহ্বান জানাই, আপনারা সুস্থ ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক ধারায় ফিরে আসুন। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও কল্যাণকর বাংলাদেশ বিনির্মাণে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মূল্যবোধের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হই।’


ঐক্যফ্রন্ট নেুা ড. কামাল হোসেন নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মাস্তানি করেছেন এমন অভিযোগ করে নানক বলেন, ‘মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন কীভাবে একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে রীতিমতো এক ধরনের মাস্তানি করেছেন। এমনকি আমাদের দেশের পেশাদার পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে অত্যন্ত অসম্মানজনক শব্দ ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যা আমরা মুখেও আনতে চাই না।

 

এর আগে তারা আমাদের গৌরব ও মর্যাদার স্মারক সেনাবাহিনীকে নিয়ে পরিকল্পিত মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করেছেন। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন গিয়ে অনেক অনভিপ্রেত আচরণ করেছেন, তা কোনও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের কাছে দেশবাসী প্রত্যাশা করে না।