Bangladesh

রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেন জিয়া

রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলেন জিয়া

| | 28 Oct 2017, 07:54 am
ঢাকা, অক্টোবর ২৮ঃ মিয়ানমার থেক এই দেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা দেখতে শনিবার ঢাকা থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

ঢাকা গুলশানে ওনার ভবন থেকে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে জিয়া কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা হন।

 

সড়ক পথেই কক্সবাজারের যাত্রা করছেন জিয়া।

 

এই সফরে জিয়ার সাথে রয়েছেন  বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

 

মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের বিএনপি এর  নেতারাও এই সফরে জিয়ার সাথে যোগ দিয়েছেন।

 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এই সফরের বিষয় সাংবাদিকদের বলেনঃ "সফর যাতে নির্বিঘ্ন হয়, সে জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চেয়েছি। আইজিপি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন।"

 

উনি বলেন জিয়া রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রান বিতরণ করবেন।

 

অন্যদিকে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে সেই দেশে ফেরত যান তা বোঝাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি আহ্বান করেছেন শেখ হাসিনার সরকারকে।

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মিয়ানমার সফর থেকে ফিরে এসে এই কথা জানিয়েছেন আজ এজ সংবাদ  সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে।

 

সেই দেশে সফরে গিয়ে, কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সু চির সাথেও বৈঠক করেন।

 

সেখানে উঠে আসে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ।

 

“অং সান সু চি আমাকে বলেন, ‘তোমরা তাদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য উৎসাহিত কর-তারা তো এখন আসতে চায় না’," কামাল আজ সংবাদ সম্মেলনে বলেন।

 

“আমি বলেছি, তারা কেন আসতে চায় না? সেটা আপনি নিশ্চয়ই জানেন। তাদের আসার পরিবেশ নাই। তাই তারা তারা আসতে চায় না," মন্ত্রী জানান উনি কি বলেছেন সেই দেশের নেত্রীকে।

 

মন্ত্রী আরও ওনাকে বলেছেন যে রোহিঙ্গা সঙ্কট অবসানে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ যেন বাস্তবায়ন হয়।

 

উনি সু চিকে বলেছেন যে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্বাস করেন উনি মিয়ানমারকে উন্নতির পথে নিয়ে যাবেন।


অগাস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন পাঁচ লক্ষ্যের বেশি রোহিঙ্গা মানুষ।


বহুবার মিয়ামারকে এই মানুষদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন বাংলাদেশ সরকার।

 

তবে এখনও পর্যন্ত ফল হয়নি।