Bangladesh
Younus gets bail
রোববার দুপুর ১২টার দিকে ড. ইউনূস দ্বিতীয় শ্রম আদালতে আত্মসমর্পণ করতে যান। আদালতে গিয়ে তিনি পেছনের দিকে বসেন। হাস্যোজ্জ্বল মুখে সবার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। এসময় দ্বিতীয় শ্রম আদালতের বিচারক জাকিয়া পারভীন এজলাসে উঠেন। পেশকার ড. ইউনূসের পাঁচ মামলা শুনানির জন্য ডাকেন। এসময় ড. ইউনূসকে কাঠগড়ায় যেতে বলা হয়। তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বসার জায়গায় দাঁড়াতে বললেও এজলাস থেকে আবারও বলা হয় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে। ১২টা ৫ মিনিটে তিনি মলিন মুখে কাঠগড়ায় ওঠেন। তখন তার আইনজীবীরা বলেন, ড. ইউনূস সম্মানিত ব্যক্তি, বয়সেও প্রবীণ। এসব বিবেচনায় তার জামিন মঞ্জুর করা হোক। আদালত তখন পাঁচ মামলায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর তার আইনজীবী ২০৫ ধারায় আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার একটি আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং তাকে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন উপস্থিত হতে বলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করায় চাকরিচ্যুতের অভিযোগে দায়ের করা পাঁচ মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে তিন মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। অপরদিকে একই আদালতে দায়ের করা আরও দুই মামলায় তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। ৫ নভেম্বর এই দুই মামলার দিন ধার্য থাকলেও বিদেশে প্রোগ্রাম থাকায় অগ্রিম জামিন আবেদন করেন ড. ইউনূস।
গত ৩ জুলাই ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের সদ্য চাকরিচ্যুত সাবেক তিন কর্মচারী। আদালত ৮ অক্টোবর তাদের হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। অপর দুজন হলেন একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীন।