Bangladesh
বৈশাখী পোশাক কিনতে ক্রেতাদের ভিড়
নগরীর শপিংমল গুলো থেকে শুরু করে ছোট-বড় বিপনিবিতান গুলোতে কেনাকাটায় ধুম লেগেছে। পরিবার পরিজনসহ নানা রঙের নতুন পোশাকে নিজেকে সাজাতে ভিড় বাড়ছে ক্রেতার।
এ খাতের উদ্যোক্তারা বলছেন, ঈদ কিংবা পূজা-পার্বণে বিদেশি পোশাকের আধিপত্য থাকলেও বৈশাখে ক্রেতাদের দৃষ্টি থাকে দেশি পোশাকের দিকে। এবার দুই হাজার কোটি টাকার পোশাক বিক্রির আশা করছে ফ্যাশন হাউজ মালিকদের সংগঠন।
বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে ঘুড়ি, মাটির হাড়ি কিংবা ঢোল ও একতারার মতো ঐতিহ্যবাহী বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো হয়েছে রাজধানীর ফ্যাশন হাউজগুলো। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে লাল-সাদা, হলুদ, কিংবা সাদা জমিনের উপর বর্ণিল নকশার সালোয়ার-কামিজ, পাঞ্জাবি ও ফতুয়া'সহ নানা পোশাক। আলাদা করে ক্রেতাদের নজর কাড়ছে তাঁতের শাড়ি।
ক্রেতারা বলেন, বৈশাখ উপলক্ষ্যে নানা ডিজাইনের পোশাক এসেছে। নববর্ষের জন্যই পোশাক কিনতে এসেছি। দাম মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে।
ফ্যাশন হাউজের মালিকরা বলছেন, এবার সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি ও পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। পোশাকের দামও রাখা হয়েছে ক্রেতাদের সাধ্যের মধ্যে।
এদিকে তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির কল্যাণে অনলাইনে কেনাকাটায় জীবনকে করে তুলেছে গতিশীল। দিন দিন বাড়ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কেনাকাটার প্রবণতাও। ঘরে বসেই পছন্দের শাড়ি, জামা, পাঞ্জাবি কিনছেন অনেকেই। ব্যাপ্তি বেড়েছে অনলাইন কেনাবেচারও। নিজের পছন্দমতো পণ্যটি বাছাই করা যাবে সরাসরি ফেসবুক পেজ বা নির্দিষ্ট হাউজের অনলাইন স্টোর থেকে। শপিং করতে থাকছে ক্যাশ অন ডেলিভারি, ক্রেডিট-ডেবিট কার্ডসহ সব ধরনের মোবাইল পেমেন্ট সুবিধা। অনলাইন স্টোর থেকে নির্ধারিত পণ্য ক্রয়ে দেশের যে কোনো প্রান্তে পণ্য পৌঁছে দেয়ার সুবিধা থাকায় চাহিদাও বাড়ছে।