Bangladesh
আজ বিজয় দিবস, বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন হচ্ছে দিনটি
বহু বছরের পাকিস্তানি শাসনের অবসান ঘটিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর মানচিত্রে এক নতুন দেশের নাম সৃষ্টি হ্যেছিল-বাংলাদেশ।
এই দেশের মুক্তির ও নিজভাবে এগিয়ে চলার দিনটি সৃষ্টি হয়েছিল আজকে।
আজ সেই মুক্তির ৪৬ বছর পূর্তি উদযাপন করছেন বাংলার মানুষেরা।
তবে, এইবারের বিজয় দিবস অন্যবারের থেকে একটু আলাদা।
কিছুদিন আগে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসাবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনেস্কো।
এমন এক আনন্দের খবের মাজেই উদযাপিত হচ্ছে েএই বছরের বিজয় দিবস।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় দিবসের বাণীতে আবার একবার সোনার বাংলা গড়বার ইচ্ছে
প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে আজ সকালে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
আজ ভোরে স্বাধীনতার স্মারকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশিষ্ট মানুষদের পাশাপাশি, স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সাধারণ মানুষেরা।
বাংলাদেশের মুক্তির জন্য প্রাণ দেওয়া ৩০ লাখ শহীদকে স্মরণ করবার জন্য দেশজুড়ে সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচি আজ পালিত হচ্ছে।
জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সব ভবনে।
তার সাথে সাভার স্মৃতিসৌধসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থিত শহিদ বেদীগুলি আজ ভরে উঠেছে ফুলে।
আজ সকালে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি।
আজকের দিনটি ও গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে নৌ-বাহিনীর বেশ কিছু জাহাজ সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য দলেদের আজ সমস্ত দিন ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
কারাগার ও হাসপাতালগুলোতে আজ বিশেষ খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদপত্রগুলি আজকের দিনে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।
বেতারে ও টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হচ্ছে বিজয় দিবস বিষয়ক বিভিন্ন অনুষ্ঠান।