Bangladesh
23 jamaat leaders arrested
র্যাব জানায়, কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে গোপন বৈঠককালে জামায়াতের ১৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর ‘বে টাচ’ নামে একটি হোটেল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে আটকরা গোপন বৈঠকে বসেছিল বলে জানিয়েছে র্যাব। আটকরা হলেন- কক্সবাজার জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি দরবেশ আলী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির ও কক্সবাজার জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. শাহজাহানের ছোট ভাই জামায়াত নেতা মফিজ উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা জামায়াতের নেতা শাহনেওয়াজ, জামায়াত নেতা আব্দুল করিম, মো. হাশেম, রফিক উল্লাহ, মো. ছিদ্দিক, সাবেক শিবির নেতা মো. ইউনুচ, জামায়াত নেতা আবুল আলা মো. রুমেল, আনোয়ারুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, আব্দুর রহমান, মৌলানা মো. ইউসুফ, নিয়ামত উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, আবছার কামাল ও মো. ফারুক।
র্যাব জানায়, শহরের কলাতলীর বে টাচ হোটেলের একটি কক্ষে উখিয়ার অরিজিন হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভার নাম দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার জন্য গোপন বৈঠকে বসেছিল জামায়াত নেতারা। পরে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
এদিকে বরিশালের এক মহিলা মাদরাসা থেকে জামায়াতের ৬ নেতা আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে নগরীর নবগ্রাম রোডের মডেল মহিলা মাদরাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গোপন বৈঠককালে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- ভোলা জামায়াতের আমির ফজলুল করিম, ঝালকাঠী পৌর জামায়াতের আমির আব্দুল হাই, গৌরনদী উপজেলা জামায়াতের আমির কামরুল ইসলাম খান, ঝালকাঠীর মাহবুব আলম, বরিশালের খলিলুর রহমান এবং বাবুগঞ্জের মাধবপাশার কেরামত আলী।
বরিশাল নগরীর কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম জানান, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে কয়েকজন জামায়াত নেতা নবগ্রাম রোডের সিকদার প্যালেস ভবনের মহিলা মাদরাসায় গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই মাদরাসাটি ঘিরে ফেলে। পরে মাদরাসা তল্লাশি করে জামায়াতের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।