Bangladesh
সবার বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব না হলেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার সজাগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফার এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইউএনও ওয়াহিদার ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাড়ির ভেতরে ঢুকে এভাবে আক্রমণ করা বা হাতুড়ি দিয়ে পেটানো...চোর ঢোকে চুরি করতে.. কিন্তু এভাবে একটা সরকারি কর্মচারীর ওপর হামলা করা, এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্টে ঘরে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ গোটা পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে। আবার সেই খুনিদের ইনডিমিনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে নিরাপদ করা হয়েছে। ধরনের খুনি, ক্রিমিনালদের যারা প্রশ্রয় দেয় তাদের কী রকম চরিত্র হতে পারে সেটাই বিবেচ্য বিষয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই অবস্থা থেকে পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা, ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসা এবং অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে ঘটনার সাথে সাথে সরকারপক্ষ থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কি-না। যখনই যেখানে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে, যারা জড়িত তার বা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই দায়িত্ব আমরা পালন করে যাচ্ছি। এর বেশি আর কিছু বলার নেই। কারণ, যে দেশে খুনিদের পুরস্কৃত করা হয় দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, যে দেশে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়, সেই দেশটাকে ডিসিপ্লিনে ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন একটা কাজ। সেই দায়িত্ব আমরা সরকারে আসার পর থেকে পালন করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, যেখানে একযোগে সারাদেশে পাঁচ’শ বোমা হামলা হয়েছে। প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী, অস্ত্রধারীরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। এই ধরনের বহু ঘটনা আমাদের দেশে ছিল।
কিন্তু আমরা আস্তে আস্তে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে এনে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এত জনসংখ্যা, এত ঘনবসতির একটা দেশে যা খুব কঠিন একটা কাজ।
তারপরও আমরা কিন্তু করে যাচ্ছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট সক্রিয়। যখনই যে ঘটনা ঘটছে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।