Bangladesh
Bangabandhu killer arrested
এদিকে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসির দণ্ড কার্যকরে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (ক্যাপ্টেন মাজেদ) বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্র ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ার পর বিচারিক আদালত এবং আপিল বিভাগ তাকে ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডায়িত করেন।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে সপরিবারে খুন হন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় বিদেশে পলাতক আসামিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আব্দুল মাজেদ। এখন বঙ্গবন্ধুর অপর পাঁচ দণ্ডপ্রাপ্ত খুনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছেন। এরমধ্যে রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় ও নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থায় করছেন বলে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে সংবাদ বেরিয়েছে। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম, কর্নেল রশীদ, মুসলেহউদ্দীন রিসালদার পালাতক রয়েছেন।
সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বেশ ক’বছর দেশে থাকার পর হঠাৎ দেশছাড়া হয়ে গাঢাকা দেন মাজেদ। প্রতি বছর ১৫ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যা’ ও ‘আসামিরা কে কোথায়’ এসব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হতো।
২০১৯ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো এনসিবির সহকারী মহাপুলিশ পরিদর্শক (এআইজি) মহিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সর্বশেষ তার অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানে বলে শোনা যাচ্ছিল। তখন দুই দেশকেই চিঠি দেয়া হয়। জবাবে ভারত বলেছিল, মাজেদ তাদের দেশে নেই। তবে পাকিস্তান কোনো জবাব দেয়নি।
এদিকে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ আদালতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখন মাজেদ বলেন, গ্রেফতার এড়াতে তিনি ২০ থেকে ২২ বছর ধরে কলকাতায় আত্মগোপনে ছিলেন।
ভারত থেকে কেন এলেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আদালতে কিছু না বললেও আইন-শৃঙ্খলার বাহিনী ধারণা করছে, করোনাভাইরাসের কারণে ভারত থেকে অনেককেই পুশ ব্যাক করা হয়েছে। সে কারণে সেখান থেকে ২৬ মার্চ ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে থাকতে পারেন। এর আগে লিবিয়া ও পাকিস্তানে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।