Bangladesh
Bangabandhu killer hanged
শনিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে একদল জল্লাদ ফাঁসি কার্যকর করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জানান, ফাঁসি কার্যকরের সময় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা জেলা প্রশাসক, সিনিয়র জেল সুপার, জেল সুপার, ডেপুটি জেলার, সিভিল সার্জনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে ফাঁসির প্রস্তুতি দেখতে কারাগারে যান আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা। ফাঁসি কার্যকরের বিষয়টি আগে থেকে নিশ্চিত ছিল। তাই রাত ১০টার পর আবদুল মাজেদকে তার সেলে গিয়ে তওবা পড়িয়েছেন কারা মসজিদের ইমাম। কারা সূত্র জানায়, চিৎকার করে কেঁদে তওবা পড়েছেন ক্যাপ্টেন মাজেদ।
তবে ফাঁসির আগে তিনি নিশ্চুপ ছিলেন। ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়। প্রথা অনুযায়ী সিভিল সার্জন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকরের পর তার মরদেহ ৫ মিনিট ঝুলিয়ে রাখা হয়। এরপর মরদেহ ফাঁসির মঞ্চ থেকে নামিয়ে নিচের দরজা থেকে বের করে আনা হয়। সিভিল সার্জন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, মাজেদকে দাফন করা হবে তার জন্মস্থান ভোলায়। তাকে বহনের জন্য কারাগারের সামনে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষা করছে।
এদিকে মাজেদের লাশ তার পৈত্রিক জেলা ভোলায় দাফনে আপত্তি তুলেছেন স্থানীয় সাংসদ ও আওয়ামী লীগের নেতারা। মাজেদের লাশ ভোলায় যেন প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভোলার প্রত্যেকটি প্রবেশ পথে পাহারা বসানো হয়েছে।