Bangladesh
Bangladesh: Terror leader released
তবে দল বদল করে হুজি ছেড়ে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সক্রিয় হন। অনলাইনে কম্পিউটারের সামগ্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের ব্যবসার আড়ালে তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। সর্বশেষ র্যাবের অভিযানে রাজধানীর শাহআলী থানাধীন রাইনখােলা ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে আরও তিন জঙ্গিসহ গ্রেফতার হন তিনি।
বাকিরা হলেন- মেহেদী হাসান শাকিল ওরফে বাবু (২০), আব্দুল আল মামুন ওরফে আসাদুল্লাহ হিল গালিব (১৮) এবং নাজমুল হাসান (২৯)। তাদের কাছ থেকে জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন ধরনের উগ্রবাদী বই, লিফলেটসহ উগ্রবাদী ডিজিটাল কনটেন্ট, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স সার্কিট, ডিভাইস, ব্যাটারি ও মােবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের দাবি, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি অনলাইনে জঙ্গিবাদে রিক্রুটমেন্টের কাজ করে আসছিলেন তারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন, র্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপক্ষে, তাদের মতে এই ব্যবস্থা তাগুতি বা বাতিল। তারা এই গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে অবৈধ হিসেবে আখ্যায়িত করে তথাকথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মোহাম্মদ আরিফুল করিম চৌধুরীর বাড়ি চাঁদপুরে।
তিনি কম্পিউটার সায়েন্সে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা শেষ করে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এসময় তিনি হরকাতুল জিহাদে সক্রিয় ছিলেন। ২০১৫ সালে গ্রেফতার হয়ে ২৩ মাস জেলখাটার পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। ব্যাংক থেকে তিনি বরখাস্ত হন। পরবর্তীতে তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমে যোগ দেন এবং ঢাকা অঞ্চলের একাংশের শীর্ষ স্থানীয় পদ লাভ করেন।
ফেসবুকের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা আব্বাস উদ্দিন শুকুর আলীর (২২) সাথে পরিচয় হয় এবং তার মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রমে আরাও তৎপর হন।
সে জঙ্গি সংগঠনে বিভিন্নভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে আসছিল। কুমিল্লা অঞ্চলের শীর্ষ স্থানীয় জঙ্গি শুকুর আলী ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয় জেল হাজতে আছে।