Bangladesh
Betting is increasing terrorism and addiction to drugs
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণা বলছে- জুয়ায় আসক্তদের মাঝে মাদক, সন্ত্রাস, সম্পদ বিক্রি ও আত্মহত্যার প্রবনতা উদ্বেগজনক। তাই বর্তমান আর্থসামাজিক বাস্তবুায়, বাংলাদেশে ক্যাসিনোর যৌক্তিকতা দেখেন না সাধারণ মানুষ ও সমাজবিজ্ঞানীরা। বলছেন, ক্যাসিনোর নামে এখানে যা হচ্ছে, তা নিতান্তই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি উপহাস।
ক্যাসিনো তথা জুয়ার আসরে সর্বোস্ব হারানো এক ব্যক্তির কথায় স্পষ্ট বুঝা যায় জুয়ার ক্ষতিকর প্রভাব। তিনি প্রথম ২ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করেন জুয়া খেলা। পরে ১৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা হেরে পাগল হয়ে যান। ৪২টা মোবাইলের দোকান থেকে এখন নিঃস্ব তিনি।
ইন্টারনেটে ক্যাসিনো সম্পর্কে যতো গবেষণা প্রতিবেদন পাওয়া যায়, তাতে নেতিবাচক ফলাফলই বেশি। জুয়ার সামাজিক প্রভাব নিয়ে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব গ্লাসগো- এর গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, জুয়াড়িদের মাঝে পারিবারিক সহিংসতা, বিবাহ বিচ্ছেদ, চাকরিচ্যুতি, দেউলিয়াপনা ও মাদকের প্রবনতা বাড়ে। আর ক্যাসিনোর ৫০ মাইল এলাকার মধ্যে বেড়ে যায় অপরাধমূলক কর্মকান্ড। এছাড়া একজন জুয়াড়ির সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার স্ত্রী, সন্তান, পরিবারের অন্য সদস্য, বন্ধু, সহকর্মীসহ ৫ থেকে ১০ জন।
ওই গবেষণা আরো বলছে, অস্ট্রেলিয়াতে জুয়াড়িদের মধ্যে শতকরা ৬০ জনই মানসিক বিষন্নতায় ভোগে এবং আত্মহত্যা করে ৯ জন। আর, যুক্তরাষ্ট্রের এই আত্মহত্যার হার ১৩ শতাংশ, যেখানে সাধারণ মানুষের মাঝে ১ দশমিক ১ ভাগ। অন্যদিকে জুয়ার ঋণ পরিশোধ করতে জমি ও সম্পদ বিক্রি করে দেয় শতকরা ৪০ জন।