Bangladesh

BGB BSF meet

BGB BSF meet

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 08 Sep 2018, 06:27 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ৮ : বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর মহাপরিচালক (ডিজি) পর্যায়ে ৪৭তম সীমান্ত সম্মেলন শুক্রবার ভারতের নতুনদিল্লীতে জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন (জে আর ডি) স্বাক্ষরের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে।

গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া সীমান্ত সম্মেলন শেষে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অনুসন্ধান ও মানবপাচার রোধসহ আটটি বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছে একসঙ্গে কাজ করার যৌথ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।


সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক কে কে শর্মার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল অংশগ্রহণ করেন।


বিজিবি মহাপরিচালক সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হতাহতের ঘটনা রোধে বিএসএফ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান তবে হতাহতের ঘটনা এখনও শূন্যের কোঠায় নেমে না আসায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বিএসএফ মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তে হতাহতের ঘটনা এড়াতে বিএসএফ নন-লিথেল অস্ত্র ব্যবহার করছে এমনকি সশস্ত্র সীমান্ত অপরাধীদের বিপদজনক আক্রমণের শিকার হয়েও বিএসএফ সর্বোচ্চ সহিষ্ণুতা প্রদর্শন ও ন্যূনতম শক্তি প্রয়োগের নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সীমান্ত অপরাধীদের দ্বারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম বন্ধ করাসহ তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে হতাহতের ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা সম্ভব। এ বিষয়ে উভয়পক্ষ প্রতিরোধমূলক যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।


বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের অনুসন্ধানে বিজিবিসহ বাংলাদেশি অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতার প্রশংসা করে এ বিষয়ে আরও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। বাংলাদেশে এ ধরনের কোন গোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, বাংলাদেশ কখনই তার ভূমি অন্যকোন দেশের বিরুদ্ধে কোনো অপরাধী গোষ্ঠীকে ব্যবহারের সুযোগ দেয় না।


ইচ্ছাকৃত সীমান্ত লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে নিজ নিজ দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অসতর্কতাবশত সীমান্ত অতিক্রমকারী নাগরিকদের নিজ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরে উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে।


উভয়পক্ষ মানব পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পাচারের শিকার হওয়া নাগরিকদের দ্রুত উদ্ধার করাসহ তাদের পুনর্বাসনে নিজ নিজ দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণে সম্মত হয়েছেন।


বিএসএফ মহাপরিচালক ভারতীয় জাল মুদ্রা পাচার রোধে সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিজিবিসহ বাংলাদেশের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেন। মাদক, অস্ত্র, স্বর্ণ পাচারসহ সব ধরনের চোরাচালান বন্ধে একে অপরের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন এবং চোরাচালান রোধের যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছেন।