Bangladesh

সিনহা হত্যায় আরও ৪ পুলিশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদানের পর ৪ সাক্ষীকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে (ছবি : সংগৃহিত)।

সিনহা হত্যায় আরও ৪ পুলিশের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 10 Sep 2020, 12:21 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ : অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের আরও চার সদস্য। তারা হলেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৬৪ ধারায় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আসামিদের মধ্যে দুই জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ’র আদালতে এবং অন্য ২জন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দীনের আদালতে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: খায়রুল ইসলাম জানান, এই চার আসামি রিমান্ডে সিনহা হত্যা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। আমা করছি আদালতের কাছেও তারা একই রকম তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানান, এই মামলায় এই পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

 

তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান, সিনহা হত্যা মামলার আসামি পুলিশের এই চার সদস্যকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের আদেশ পেয়ে গত ৬ সেপ্টেম্বর পুলিশের এই চার সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

 

এরআগে পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দ দুলাল, এপিবিএন এর ৩ সদস্য এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ স্বাক্ষী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে জবানবন্দি দেননি মামলার অন্যতম আসামী ওসি প্রদীপ। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।

 

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে নিহত হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। মারিশবুনিয়ার একটি পাহাড়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে হিমছড়ির নীলিমা রিসোর্টে ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট মামলা দায়ের করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়।