Bangladesh

Bomb making factory raided: Three terrorists detained in Bangladesh

Bomb making factory raided: Three terrorists detained in Bangladesh

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 24 Sep 2019, 12:04 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২৪ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকার এক বাড়িতে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে এক নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

পাশের একটি টিনশেড বাড়িতে তাদের বিস্ফোরক তৈরীর ল্যাব রয়েছে আটকের পর এমন স্বীকারোক্তি দেয়ায় পুলিশ পাশের টিনশেড বাড়িটি ও তাদেরকে যে বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে সে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। সোমবার মধ্যরাতে এই অভিযান শুরু হয়।


নারায়নগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম জানান, ঢাকা থেকে আসা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা জেলা পুলিশের সহায়তায় ভোর রাত থেকে অভিযান শুরু করে। তারা তক্কার মাঠ এলাকার জয়নাল আবেদীনের তিন তলা ভবনে অভিযান চালিয়ে জঙ্গী তৎপরতার অভিযোগে জামাল উদ্দিন রফিক, ফরিদ উদ্দিন রুমি এবং জান্নাতুল ওয়ারা অনু নামের এক নারীকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, পার্শ্ববর্তী একটি টিনশেড বাড়িতে তাদের বোমা তৈরীর ল্যাব রয়েছে। তাদের এ বক্তব্যের পর পুলিশ দুইটি বাড়িই ঘিরে রাখে।


সামবার সকালে ঢাকা থেকে পুলিশের বোমা ডিসপোসাল ইউনিট এসে বোমা তৈরীর ল্যাবে বিস্ফোরক নিস্ক্রিয় করার কাজ শুরু করে। এলাকাবাসী জানিয়েছে আটককৃত তিনজন তিন তলা বাড়ির মালিক জয়নাল আবেদীনের আত্মীয়। রফিক জয়নাল আবেদীনের ভাতিজা।


পুলিশ জানায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শিহারচরের তক্কার মাঠ এলাকার জঙ্গি আস্তানা থেকে আটকরা নব্য জেএমবির সদস্য। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।


তিনি বলেন, এখান থেকে যারা আটক হয়েছে তারা মূলত নব্য জেএমবির সদস্য। অভিযোগের ভিত্তিতে জামাল উদ্দীন রফিককে ঢাকা থেকে আটক করা হয়। পরে জঙ্গি আস্তানা থেকে তার ভাই ও ভাবিকে আটক করা হয়। তারা এ বাড়িতে বসে দেশের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। এ জঙ্গি আস্তানায় বোমা ও বিস্ফোরক রয়েছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করতে বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট কাজ করছে। এখানকার বোমা ও বিস্ফোরকের সঙ্গে সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাওয়া বোমা ও বিস্ফোরকের মিল রয়েছে।


তিনি আরও বলেন, যে বাড়িতে বোমা তৈরি করা হয় সেখানে আগে ৬টি টিনসেড রুমে ৬টি পরিবার থাকতো। প্রায় ৭ মাস আগে বাড়িতে বহুতল ভবন করার কথা বলে বাড়ির মালিকের ছেলে ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেন। কিন্তু ভাড়াটিয়াদের সরিয়ে দেয়ার ৭ মাসেও কোনো ভবন করা হয়নি। এ বাড়িতে জঙ্গি সদস্যদের প্রতিনিয়ত আনাগোনা ছিল। এখানে বসে বোমা তৈরি করে দেশের বিভিন্ন এলাকার জঙ্গিদের সঙ্গে দেয়া হতো।