Bangladesh
Confusion arises related to Saraswati Puja date
এদিকে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট আগামী ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের তারিখ নির্ধারণের প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনের নেতারা সরস্বতী পূজার দিন বাদ দিয়ে অন্য যে কোনো দিন এই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে নির্বাচন কমিশন ও সরকারের প্রতি আবেদন জানান। অন্যথায় হিন্দু সম্প্রদায় ভোট বর্জন করতে বাধ্য হবে।
বুধবার রাজধানীর জয়কালী মন্দির রোডে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হিন্দু মহাজোটের সভায় নেতারা এসব কথা বলেন। নেতারা বলেন, এর আগেও হিন্দু সম্প্রদায়ের আপত্তির মুখে গত বছর দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীর দিন নির্বাচন কমিশন রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠান করেছিল। প্রশাসনে হিন্দু বিদ্বেষ থাকার কারণেই বারবার এমন ঘটনা ঘটছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি তারা ন্যূনতম সম্মান দেখাচ্ছেন না।
এদিকে বুধবার দ্বিতীয় দিনে মত ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের তারিখ পিচানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদারণ ছাত্র-ছাত্রীরা। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, ‘যেসব শিক্ষার্থী আন্দোলন করছে, তারা বয়সে নবীন। তাদের কেউ হয়তো বুঝে কেউ না বুঝে আন্দোলন করছে। আমার ধারণা, একটু পরই বুঝে যাবে যে, এটা আসলে করা ঠিক হচ্ছে না।’ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ইসির এক অভ্যন্তরীণ বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, ‘কমিশন আগেই বলেছে, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২৯ তারিখ সরস্বতী পূজা। ৩০ তারিখে পূজা নেই। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা। মাঝে সময় একদিনই ৩০ তারিখ, যেদিন নির্বাচন করা যায়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা উচ্চ আদালতে রিট করেছিল, সেটি খারিজ হয়ে গেছে। কারণ তারা যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে, তা তারা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। আদালত নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখটি যুক্তযুক্ত মনে করেছেন, তাই রিটটি খারিজ করে দিয়েছেন।’