Bangladesh
Digital security law passed
আইনের ৩২ ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট প্রয়োগ করে সরকারি কোনো কম্পিউটার, ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক্স মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যকে (‘তথ্য পাচারের’) অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই অপরাধ সংঘটন ও সংঘটনে সহায়তার দায়ে ১৪ বছরের কারাদন্ড বা ২৫ লাখ টাকার অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
যদি কেউ একই অপরাধ দ্বিতীয়বার বা বারবার করেন, তাহলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বা ১ কোটি টাকার অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
বুধবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এর আগে বিলের ওপর আনীত সংশোধনী, জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলটি সংসদীয় কমিটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক এবং তাদের সুপারিশ বিলটিতে সন্নিবেশিত করা হয়েছে উল্লেখ করা হলেও চূড়ান্ত প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সম্পাদক পরিষদ। সম্পাদক পরিষদ তাদের বিবৃতিতে বলে, এই প্রতিবেদন আমরা প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছি। কেননা, খসড়া আইনটির ৮,২১, ২৫,২৮, ২৯,৩১, ৩২ ও ৪৩ ধারায় মৌলিক কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এই ধারাগুলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুতর হুমকি।