Bangladesh
Fake Website trouble in Bangladesh
র্যাব বলছে, প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ওয়েবসাইটের মতো পুরোপুরি একই চেহারায়, একই রঙে তৈরি করা হয়েছে ভুয়া পোর্টালগুলো। ভালো করে খেয়াল করলে দেখা যাবে ওইসব ফেক ওয়েবসাইটের ডোমেইন যেমন আলাদা, খবরের ধরনেও পার্থক্য রয়েছে। বুধবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও গাজীপুরের টঙ্গী থেকে কামাল হোসেন (২৩) ও মো. আল আমিন (৩০) নামে দুজনকে গ্রেফতারের পর তাদের বিষয়ে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় সংবাদ সম্মেলনে আসেন র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন গণমাধ্যমের ডোমেইন নামেরমূল বানান থেকে ভুয়া পোর্টালগুলোর নামের বানানে সামান্য পার্থক্য আছে। ভুয়া এসব পোর্টালে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেই প্রতিবেদনগুলো তারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারও করে।
মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, আমরা যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছি, এদের সঙ্গে যারা আরও জড়িত, তাদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের ২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৭, ২৯ এবং ৩১ ধারায় যে অপরাধগুলো হয়েছে, এ আইনে আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করব।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার বলেন, এর আগে ফেক ওয়েবসাইট তৈরির অভিযোগে গণ ২৫ নভেম্বর মোহাম্মাদ এনামুল হককে রাজধানীর বিমানবন্দর রেলষ্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হলে তার কাছ থেকে দেশি-বিদেশি সংবাদ মাধ্যমের নামের সঙ্গে মিল রেখে নাম রাখা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন প্রচার ও ভুয়া সংবাদ প্রচারের তথ্য পাওয়া যায়। তিনি বলেন, গণ আগস্ট মাসে ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ নামে শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে কোমলমতি ছাত্রদের উসকে দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সহিংসুায় পরিণত করতে এই সমস্ত ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, কোনো পোস্ট ১ হাজারের বেশি ভিউ, লাইক বা শেয়ার হলে ফেসবুকে কর্তৃপক্ষ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দেয় যা পরবর্তীতে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ডোমেইনের সত্ত্বাধিকারী হিসেবে তারা পেয়ে থাকেন। এক প্রশ্নের জবাবে, র্যাব কর্মকর্তা বলেন, ফেক ওয়েবসাইট তৈরির সাথে শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।