Bangladesh
Hasina to unveil Karnaphuli tunnel tomorrow
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পে দেশি-বিদেশি প্রায় এক হাজার ২০০ লোক তিন শিফটে কাজ করছেন। এরই মধ্যে নদীর দুই অংশে প্রকল্পের ২৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খনন কাজের উদ্বোধনের পরপরই শুরু হবে টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ তৈরির কাজ।
কর্ণফুলী টানেলের দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। নদীর তলদেশ দিয়ে দুটি টিউবে চার লেন টানেল সড়ক নির্মাণ করা হবে। এর পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে সাড়ে ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। নদীর পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পাশের সংযোগ সড়কসহ এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য হবে ৯ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার।
এর মধ্যে আনোয়োরা প্রান্তে ৭০০ মিটারের একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে, যা আনোয়ারা চাতুরী চৌমুহনীতে এসে চট্টগ্রাম আনোয়ারা বাঁশখালী পিএবি সড়কের সঙ্গে মিলিত হবে। টানেলের প্রবেশ প্রান্ত মিলিত হবে নগরীর পতেঙ্গা নেভাল একাডেমি পয়েন্ট থেকে। গড়ে উঠবে সাংহাইয়ের মডেলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন।’
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, টানেল দিয়ে বছরে প্রায় ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে। চালুর তিন বছর পর ওই সংখ্যা দাঁড়াবে ৭৬ লাখে। চালুর প্রথম বছরে চলাচল করা গাড়ির প্রায় ৫১ শতাংশ হবে কন্টেইনারবাহী ট্রেইলর এবং বিভিন্ন ধরনের ট্রাক ও ভ্যান। বাকি ৪৯ শতাংশের মধ্যে ১৩ লাখ বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস এবং ১২ লাখ কার, জিপ ও বিভিন্ন ছোটগাড়ি থাকবে।
গত বছরের জুলাই মাসের শেষ দিকে চট্টগ্রাম পৌঁছায় কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পে নদীর তলদেশে খননের মূল যন্ত্র টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম), যা দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় টানেল বোরিং মেশিন। ইতোমধ্যে চীন থেকে আনা টিবিএম মেশিন পরীক্ষামূলক খনন কাজ সফলভাবে শুরু করেছে। প্রায় তিনুলা বাড়ির সমান উঁচু দৈত্যাকৃতির এ টিবিএম কর্ণফুলীর পতেঙ্গা পয়েন্ট থেকে মাটি কেটে কেটে এগিয়ে যাবে, যা কোনো কোনো পয়েন্টে নদীর তলদেশের মাটি থেকেও ১৪০ ফুট গভীর পর্যন্ত পাতালে ঢুকবে, যার মধ্য দিয়ে তৈরি হবে সুড়ঙ্গ পথ। মেশিনটি নদীর উত্তরপ্রান্ত থেকে পথ কাটা শুরু করে দক্ষিণপ্রান্ত দিয়ে বের হবে।