Bangladesh

Hilsa hunting: Government prevents it for 65 days

Hilsa hunting: Government prevents it for 65 days

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Apr 2019, 12:04 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, এপ্রিল ২০ : ইলিশের ভরা মৌসুম ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রতিবাদে মৎস্যজীবীরা সোচ্চার হচ্ছেন। মৎস্য অধিদফতরের এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করায় জেলেদের মধ্যে হতাশা এবং ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জেলেদের আশঙ্কা, মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞার কারণে বছরের ৬ মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকলে বেকার হয়ে যাবেন হাজার হাজার জেলে।

ইলিশের ভরা মৌসুমে নতুন করে ৬৫ দিনের অবরোধ আরোপকে মৎস্যজীবীরা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র দাবি করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সংম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়। নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে আজ শনিবার মৎস্যবন্দর আলীপুর-মহিপুর বন্দরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আহ্বান করেছেন জেলেরা।


সংবাদ সম্মেলনে মহিপুর-আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষে কুয়াকাটা-আলীপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিেিমটেডের সভাপতি মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১৫ সালের ২০ মে মৎস্য-২ (আইন) অধিশাখা কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে আগামী ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সকল ধরনের নৌযানের ওপর মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অথচ এ সময়টা মূলত ইলিশের ভরা মৌসুম। বৈশাখ মাস থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ছয় মাস ইলিশের মৌসুম বলা হলেও প্রকৃত পক্ষে জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ ও ভাদ্র-এই চার মাস (১২০ দিন) ইলিশ শিকারের মৌসুম। এর মধ্যে ভাদ্র মাসে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায়ই জেলেরা সমুদ্র যেতে পারেন না। এরপরে সরকার যদি ৬৫ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ বাস্তবায়ন করে তাহলে মৎস্যজীবীদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এ পেশা থেকে অনেকই অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হবেন।


তিনি বলেন, এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে অবরোধ জারি করলেও ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমুদ্রের জলসীমায় কোনো অবরোধ না থাকায় ওই সকল দেশের জেলেরা সমুদ্রে অবাধে মাছ শিকার করছেন। তারা এ সময় বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকেও মাছ শিকার করে নিয়ে যান। এতে বাংলাদেশের জেলেরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

 

তবে একই সময় ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যদি মৎস্য শিকারের ওপর অবরোধ জারি করেন তাহলে দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে। অন্যথায় ভারতসহ অন্যান্য দেশ ইলিশ রফতানি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করবে। এতে বাংলাদেশ ইলিশ রফতানিতে সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ব্যর্থ হবে।