Bangladesh

Indian woman arrested for involvement with Neo JMB
আয়েশা ওরফে প্রজ্ঞা দেবনাথ (ফাইল ছবি)।

Indian woman arrested for involvement with Neo JMB

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 18 Jul 2020, 08:26 am
Bangladesh Counter Terrorism and Transnational Crime (CTTC) unit of police on Friday arrested an Indian national, for her alleged involvement with the militant group Neo JMB.

আদালত সূত্র মতে, শুক্রবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মতিঝিল থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এরআগে সদরঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বলছে কোনো হিন্দু মেয়ের জেএমবিতে যোগদানের ঘটনায় তারা হতবাক। তাই গোটা বিষয়টা তারা ভালো কওে দেখতে চায়। দরকার হলে তারা আবারও আয়েশার রিমান্ড চাইবে।
২৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম আয়েশা জান্নাত মোহনা ওরফে জান্নাতুত তাসনিম। ধর্মান্তরিত হওয়ার আগে তার নাম ছিল প্রজ্ঞা দেবনাথ। পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলায় তার বাড়ি। ভারতীয় ওই নারীর অনলাইনে ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশি আমির হোসেন সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ হয়, পরে ‘টেলিফোনে দুজনের মধ্যে’ বিয়ে হয়। এর আগে থেকে সে নব্য জেএমবির নারী শাখার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ রাখতো। এক পর্যায়ে নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুনের সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি উত্তর কমলাপুর এলাকা থেকে আসমানী খাতুন ওরফে আসমা ওরফে আমাতুল্লাহ সিটিটিসির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ২৮ বছরের এই নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়। ওই মামলায় রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলাতেই ভারতীয় এই তরুণীকেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ জানায়, এই তরুণী একাধিকবার বৈধভাবে বাংলাদেশে এসেছেন। তার এই আসা-যাওয়ার কারণ কি ছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। সর্বশেষ গত অক্টোবরে স্বামী সাদ্দামের পরামর্শে আয়েশা বাংলাদেশে এসে আসমানীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন। বাংলাদেশে আসার পর সে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সার্টিফিকেট তৈরি করে তা দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে। তা দিয়ে নব্য জেএমবির সদস্যদের সহায়তায় ঢাকার কেরানীগঞ্জে ও  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিভিন্ন মাদ্রাসায় চাকরি নেয়।
ফেব্রুয়ারিতে আসমানী গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে চাকরি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায় এবং গোপনে নব্য জেএমবির নারী সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন।
সিটিটিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ২০০৯ সালে নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় তাসনিম অনলাইনের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়। এরপর ধর্মান্তরিত হয়ে অনলাইনে ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা শুরু করে। সেখান থেকে নব্য জেএমবির সদস্যরা তাকে দলে ভেড়ান। এরপর থেকে আসমানীর পরামর্শে সে সংগঠনের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য সংগ্রহের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। তার আরও বেশ কিছু সহযোগী আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।