Bangladesh
Lalmonirhat: Brahmaputra water disconnects area with rest of Bangladesh
শনিবার সকালে তিস্তার পানি প্রবাহ দোয়ানি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি ৫৩.১১ সেন্টিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে তিস্তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকা ও ফ্লাট বাইপাসের উজানে পানি উন্নয়ন বোর্ড রেড এলার্ট জারি করে মাইকিং করেছে।
স্থানীয়রা জানান, তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গড্ডিমারী ইউনিয়নের রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি। পানির তোড়ে গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে হাটখোলা সড়কের পাশে পানি আসা শুরু করেছে। এছাড়াও হাতীবান্ধা থেকে বড়খাতার বাইপাস সড়কের তালেব মোড় এলাকার সড়কটির বিরাট অংশ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজনের বাইপাস সড়কের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ ভাঙনের ফলে এরই মধ্যে ওই এলাকার ৩০টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ইউনিয়নটির চারপাশের রাস্তাঘাট ভেঙে যাওয়ায় এলাকার লোকজনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানি হাতীবান্ধা শহরসহ লোকালয়ে প্রবেশ করায় জেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিস্তা পাড়ের লোকজন নিজ নিজ অবস্থান থেকে বালুর বস্তা দিয়ে পানি আটকে রাখার চেষ্টা করলেও বস্তার সংকটে তা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
এদিকে তিস্তা পাড়ের লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিস্তা নদীর ভয়ংকর রূপ আর গর্জনে পানিবন্দি লোকজনের চোখে ঘুম নেই। বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকটেও ভুগছেন তারা। জেলার প্রায় ৩০ হাজার পরিবার এখন দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।