Bangladesh

Major Sinha was gunned down within two minutes: RAB
তিন আসামীসহ ঘটনাস্থলে র‌্যাব (ফাইল ছবি)।

Major Sinha was gunned down within two minutes: RAB

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 22 Aug 2020, 12:36 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ২২ আগস্ট ২০২০ : সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় রিমান্ডে থাকা তিন আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কের ঘটনাস্থল বাহারছড়ার শামলাপুর চেকপোস্টে নেয় র‌্যাব।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সিনহাকে গুলি করার ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতেই তাদের ঘটনাস্থলে নেয়া হয়।

 

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে গুলি করার ঘটনা দুই মিনিটের মধ্যেই ঘটে। সেই দুই মিনিটের মধ্যে কি এমন ঘটেছিল কেন তাকে গুলি করা হলো- সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হচ্ছে।

 

টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দদুলাল মেজর (অব.) সিনহা হত্যায় কে কতটুকু দায়ী তা নির্ণয়ে প্রধান অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া আসামিদের বক্তব্যের সঙ্গে আলামতগুলো মিলিয়ে দেখতে তাদের ঘটনাস্থলে নেয়া হয়।

 

র‌্যাব কর্মকর্তা তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, আসামিদের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সিনহা হত্যা এক থেকে দুই মিনিটে সংগঠিত হয়েছে। এ অল্প সময়ে এমন কি ঘটেছিল তা জানতে এ সময়ে গাড়ি চেক করা, পরিচয় জানতে চাওয়া, কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে গুলিটা হয়েছিল তা বের করতে প্রতিটা সেকেন্ডকে বিশ্লেষণ করছি আমরা। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 

তিনি আরও বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের দেখানো মতে সব কিছু খুঁটিয়ে দেখেছেন। এক থেকে দুই মিনিটে ফায়ারিং পর্যন্ত চলে যাওয়ার ঘটনা কোন প্রেক্ষিতে হয়েছে তা বুঝতে চেকপোস্ট থেকে চেকিং পয়েন্ট, বেরিকেড থেকে গাড়ির দূরত্ব, প্রত্যক্ষদর্শীদের দূরত্ব সব কিছু পরিমাপ করেছেন। এর মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তা তার কনসেপ্ট ডেভেলপ করবেন।

 

র‌্যাবের একটি সূত্র জানায়, ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যাকাণ্ডের দায় চাপাতে চেয়েছেন লিয়াকতের ওপর। তবে ঘটনার আগে ও পরে লিয়াকতের সঙ্গে তার ফোনকলের অডিও রেকর্ড শোনানো হলে চুপসে যান প্রদীপ। পরে লিয়াকত ও প্রদীপকে সামনাসামনি এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন দুজনই ঘটনায় নিজেদের সংশ্নিষ্টতা নিয়ে বিস্তারিত বিবরণ দেন তদন্ত কর্মকর্তার কাছে।