Bangladesh
No extra tax to be levied on government's next budget: Muhit
সংসদে বাজেট উপস্থাপনের তিন দিন আগে সোমবার সচিবালয়ে বাজেট নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, খুশির ব্যাপার হল দেয়ার ইজ ভেরি লিমিটেড ইনক্রিজিং ট্যাক্স রেইট, হ্যাপিয়েস্ট থিংগস ফর দি পিপল, দ্যাটস অল।’
আগামী অর্থ বছরের জন্য সাড়ে চার লাখ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের বাজেট দিতে যাচ্ছেন মুহিত। এই বাজেট উচ্চাভিলাষি, তবে তা অর্জন করা সম্ভব বলে উল্লেখ করেন তিনি। কর না বাড়লে রাজস্ব বাড়াবে কীভাবে- এই প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আহরণকারী সংস্থা এনবিআরের লোকজনের মন-মানসিকতায় পরিবর্তন হয়েছে। হয়রানি কমে গেছে, প্রসেস সহজ হওয়ায় আয় বাড়ছে। বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য ৪০০ কোটি টাকার মতো বরাদ্দ থাকছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম আয়কর রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা হবে ১৫ থেকে ২০ লাখ।
কিন্তু সেটা ইতোমধ্যে ৩৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এটা আগামীর জন্য খুব আশা জাগানিয়া বিষয়। আরও ভালো দিন হচ্ছে, নতুন করদাতাদের অধিকাংশই ইয়াং পিপল।’ তিনি বলেন, কোন লেভেল থেকে ট্যাক্স নেওয়া হবে, গতবারও চেইঞ্জ হয়নি, এবারও হবে না।
অনেক দেশে এটি চেইঞ্জ করা হয় না। অলরেডি ভেরি হাই.. বার বার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা আমি দেখি না।
কর্পোরেট করে তেমন পরিবর্তন আসছে না জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কর্পোরেট ট্যাক্সে তেমন কোনো চেইঞ্জ নেই, সারচার্জ আগের মতোই রয়েছে, বাট একটু রিফাইনমেন্ট সেখানে আনা হয়েছে।’ কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর প্রতিশ্রুতির কথা সাংবাদিকরা মনে করিয়ে দিলে তিনি বলেন, ৪৫ পার্সেন্টস আছে, একটা আছে মোবাইল এবং সিগারেট। মোবাইলের তো আয় এত ভাল এবং সিগারেটের তো অন্য উদ্দেশ্য।
স্যোসাল মিডিয়া যেমন ফেইসবুক বা অন্যান্য সেবাগুলো করের আওতায় আসছে কি না- সাংবাদিকদের প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এইসব বাইরের থেকে যারা ব্যবসা করে, ট্যাক্স নেটের আওয়ায় আনা তেমন কিছু না, আমাদের প্রতিবেশীরা আগেই করেছে।’ সিগারেটে এবারও ট্যাক্স বাড়বে বলে জানান তিনি। তবে হাইব্রিড গাড়ির আমদানি করে তেমন পরিবর্তন আসছে না বলে তিনি জানান। আগামী বাজেটে ভ্যাটের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১২ ভ্যাট আইন অনুযায়ী আমাদের কমিন্টমেন্ট ছিল ভ্যাটের স্তর একটি করা। কিন্তু সেটা আমরা করতে পারিনি। তবে আমরা আগামী বাজেটে ভ্যাটের স্তর ৯টি থেকে ৫টিতে নামিয়ে আনবে। তবে আমাদের মূল টার্গেট হচ্ছে তিন স্তরে নামিয়ে আনা। ভ্যাটের সর্বোচ্চ হারটা ১৫ শতাংশই থাকবে। নিচেরগুলো পরিবর্তন করা হবে।’