Bangladesh
No satisfaction in bursting Terror networks
কারণ বৈশ্বিক, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আমাদের আরও বেশ কিছু দিন সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। সেটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলেন, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলেন, কিংবা গোয়েন্দা সংস্থা বলেন। আসলে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। রোববার দুপুরে হোটেল ওলিও’তে হামলার মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বলেন তিনি।
সাইট ইনটেলিজেন্স-এর মতো আন্তর্জাতিক জঙ্গি মনিটরিং সাইট বার বার সতর্ক করছে, হামলার তথ্য দিচ্ছে, হামলার সম্ভাবনার কথাও বলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের (আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন) আইডিওলজিতে আকৃষ্ট করতেই মূলত তারা সাইবার স্পেসে প্রতিদিন কোনো না কোনো বয়ান ছাড়ছে। একটিভলি প্রতিদিন বক্তব্যও দিচ্ছে। তাদের রিক্রুট বাড়ানোর জন্য করছে। এসবের কোনো ঘটনাকে আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না।
আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো তিন ধরনের কার্যক্রম চালাচ্ছে উল্লেখ করে মনিরুল ইসলাম বলেন, ফিজিক্যাল ওয়ার্ক যা এখন ইরাক-সিরিয়া, আফগানিস্তান বা কিছুটা কাশ্মীরে হচ্ছে, এরপর ফিলিপিনস কিংবা শ্রীলঙ্কার ঘটনা। আরেকটা হলো আইডিওলজিক্যাল এবং তৃতীয় হচ্ছে, সাইকোলজিক্যাল ওয়ার্ক। সাইকোলজিক্যালি তাদের মুাদর্শে উদ্বুদ্ধ করতেই তারা সাইবার স্পেসে প্রতিদিন বয়ান প্রচার করছে।
রাজধানীর হোটেল ওলিও হামলা সম্পর্কে কাউন্টার টেররিজম প্রধান বলেন, তদন্তকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে হোটেল ওলিও’ ইন্টারন্যাশনালে হামলায় জড়িত বা সম্পৃক্ত ছিল ১৫ জন। যাদের মধ্যে আত্মঘাতি সাইফুলও ছিল। ওই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী আকরাম হোসেন নিলয়। তিনিসহ ১৪ জনই গ্রেফতারের পর এখন জেলে। সবাই নব্য জেএমবি’র সদস্য। ১৪ জনের মধ্যে ১০ জন বিজ্ঞ আদালতে কার কী ভূমিকা সে ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। যে কারণে আমাদের এই ঘটনার তদন্ত করতে সহজ হয়েছে। ওই ঘটনার চার্জশিট চূড়ান্ত করা হয়েছে। এখন সরকারের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী মাস্টারমাইন্ড আকরাম হোসেন খান নিলয়, অর্থ সরবরাহকারী তানভীর ইয়াসীন কবির, আবু তুরাব খান, সাদিয়া হোসনা লাকি, হুমায়রা জাকির নাবিলা ও তাজরীন খানম শুভ।
ওই ঘটনায় বোমা সরঞ্জাম সরবরাহ করে আবুল কাশেম ফকির, লুলু সরদার ওরফে শহিদ মিস্ত্রি, তাজুল ইসলাম ছোটন।