Bangladesh

Padma leaves a rich chairman poor

Padma leaves a rich chairman poor

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 16 Sep 2018, 10:48 pm
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ১৭ : কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মূলফৎগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন দেওয়ান ছিলেন কোটিপতি।

সম্প্রতি পদ্মার ভাঙনে তার বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

 

সব হারিয়ে এখন তিনি নিঃস্ব।

 

এমনকি তার থাকার জায়গাটুকুও নেই। আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়র বাড়িতে। অপরদিকে ২০ বছর হলো স্বামীকে হারিয়েছেন রহিমা বেগম (৯৫)। ছেলে-মেয়ে ও নাতি-নাতনি নিয়ে চার শতাংশ জমির মধ্যে বসবাস ছিল তার। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অব্যাহত ভাঙনে তার সেই জমিটুকুও পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। স্বামীর ভিটে হারিয়ে পদ্মা পানে চেয়ে থাকা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই তার।


রহিমা বেগম ও ইমাম হোসেন দেওয়ানের মতো অবস্থা এখন নড়িয়ার হাজারো পরিবারের। গত তিন মাসে নদী ভাঙনে ৫ হাজার ৮২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও অব্যাহত ভাঙনে প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। নড়িয়া এলাকার বাঁশতলা ও কেদারপুরে এক সপ্তাহ বিরতির পর ফের নতুন করে ভাঙতে শুরু করেছে।


জানা যায়, গত সোমবার রাতেই নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনটির অধিকাংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। হাসপাতাল ক্যাম্পাসের একটি আবাসিক ভবনে জরুরি বিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও বহিঃবিভাগ চালু রাখা হয়েছে। রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এমনকি হাসপাতালে প্রবেশের সড়কটি বিলীন হয়ে যাওয়ায় ভয়ে আগের মতো রোগীও আসছে না। হাসপাতালের সামনেই পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। তবে সেটা কোনো কাজে আসছে না।


কেদারপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত ঈমাম হোসেন দেওয়ান বলেন, আমরা খুবই অসহায়। আমাদের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। হাসপাতালটি ভাঙনের মুখে পড়ায় এ উপজেলার লোকজনের চিকিৎসা সেবা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।