Bangladesh

People were brought from China and Nepal to run casino in Dhaka

People were brought from China and Nepal to run casino in Dhaka

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 20 Sep 2019, 07:58 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, সেপ্টেম্বর ২০ : ঢাকায় যতগুলো আধুনিক বৈদ্যুতিক ক্যাসিনো জুয়ার বোর্ড আছে, সেগুলো অপারেট করতে চীন ও নেপাল থেকে অভিজ্ঞ লোক আনা হয়েছে। তারাই এই বোর্ড নিয়ন্ত্রণ করে। বিনিময়ে প্রতি মাসে বেতন পায় তারা। বুধবারের অভিযানের পর এরকম কয়েকজন নাগরিকের পাসপোর্ট ও নাম ঠিকানা পাওয়া গেছে। তাদের কাছে ওয়ার্ক পারমিট আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে র‌্যাব।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল থেকে মধ্যরাত পযন্ত ঢাকার বনানী, মতিঝিল, ফকিরাপুল ও গুলিস্তানের ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-৩ ও ১। ক্রীড়া সংগঠনের নামের আড়ালে এসব ক্যাসিনোর ভেতরের রঙিন আলো ও আধুনিক সাজসজ্জা দেখলে যেকারও চোখ ঝলসে যাবে। এসি রুমের এসব ক্যাসিনোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা এমনভাবে করা, যাতে সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতেই ভয় পায়।


র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘আমরা ক্যাসিনোতে চীন ও নেপালি নাগরিকদের পেয়েছি। এখানে তারা চাকরি করেন বলে জানিয়েছে। তবে সত্যি তাদের ওয়ার্ক পারমিট আছে কিনা, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’ এর আগে, বুধবার বেলা ৩টার দিকে প্রথমেই মতিঝিল থানার পেছনে ফকিরাপুল এলাকার ইয়ংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। সেসময় কয়েকজন চীনা ও নেপালি নাগরিককে সেখানে পাওয়া যায়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের তথ্য রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে নেপালের দুজনার নাম হলো ভূপেস ও সঞ্জয়। তারা ক্যাসিনোতে কাজ করেন।


অভিযানে র‌্যাবের হাতে মেঘা ও লিজা নামের দুই তরুণী আটক হলেও তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ক্যাসিনোতে তারা ‘ডিলার’ পদে চাকরি করেন বলে জনিয়েছেন। লিজা বলেন, ‘ক্যাসিনোতে দুই সিফটে জুয়া খেলা হয়। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা এবং রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা। জুয়ার বোর্ডগুলো চীনা নাগরিকরা চালু করে। নেপালিরা বোর্ড পরিচালনা করে। তারা এগুলো অপারেট করতে দক্ষ।’


লিজা আরও বলেন, ‘আমরা মাসিক ও দিন হিসেবে এখানে চাকরি করি। আমরা কখনও রিসিপশনে, কখনও বোর্ডে দায়িত্ব পালন করি।’


মেঘা বলেন, ‘প্রতি শিফটে ৭০-৮০ জন মানুষ খেলে। কখনও বেশিও আসে। তবে রাতের বেলায় বেশি মানুষ থাকে।’ সেখানে অনেকে মাদক সেবন করে বলেও তারা জানিয়েছে।