Bangladesh

Rohingya camps are having terrorism activities

Rohingya camps are having terrorism activities

Bangladesh Live News | @banglalivenews | 14 Dec 2018, 07:53 am
নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা, ডিসেম্বর ১৪: নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যে জঙ্গি হামলার মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)।

বর্তমানে সৌদি আরব ও মালোশিয়া প্রবাসী দুই ব্যক্তির অর্থায়নে জেএমবি তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তারা এরই মধ্যে সহযোগিণা কার্যক্রমের আড়ালে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গাকে নিজেদের দলে ভিড়িয়েছে। নির্বাচনের সময় ‘টার্গেট কিলিং’ এবং কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনও একটি অনুষ্ঠানে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।


বুধবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কমলাপুর থেকে তিন জঙ্গিকে গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানতে পারে ঢাকার কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো- জেএমবির কক্সবাজারের আঞ্চলিক প্রধান আব্দুল হাকিম, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সামরিক প্রধান নোমান ও সাধারণ সদস্য শফি। তাদের কাছ থেকে ৩০টি কমান্ডো নাইফ, একটি চাপাতি, ৩০টি এক্সপ্লোসিভ কনটেইনার ও দেড় কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

এই তিন জনের বিরুদ্ধে শাহজাহাপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।


জানা যায়, শুধু জেএমবিই নয় বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষিত অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনও জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। চলতি মাসেই নিষিদ্ধ ঘোষিত আরেক জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর ঢাকার একাধিক স্থানে প্রকাশ্যে মিছিল করে নির্বাচন ও গণতন্ত্রবিরোধী স্লোগান দিয়েছে ও লিফলেট বিলি করেছে।

 

এছাড়া নিষিদ্ধ ঘোষিত আরেক জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামও টার্গেটেড কিলিংয়ের পরিকল্পনা করছিল। চলতি সপ্তাহে এই সংগঠনের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা জঙ্গিবাদবিরোধী চলচ্চিত্র পরিচালনা ও অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত খিজির হায়াত খানকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল।


সিটিটিসির কর্মকর্তারা আরও বলছেন, এই প্রথম এতগুলো কমান্ডো নাইফ একসঙ্গে উদ্ধার করা হলো।

টার্গেটেড কিলিংয়ে জঙ্গিরা এসব কমান্ডো নাইফ ব্যবহার করে, যাতে হত্যাকা-ের সময় শব্দ না হয়।

এসব কমান্ডো নাইফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শরণার্থীদের মাধ্যমে মিয়ানমার থেকে সংগ্রহ করেছে বলে গ্রেফতার ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

 

এর আগে ২০১৫ সালের অক্টোবরে ঢাকার গাবুলী ও আশুলিয়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার পর যেসব কমান্ডো নাইফ উদ্ধার করেছিল পুলিশ, সেসবের সঙ্গে মিল রয়েছে নুুন করে উদ্ধার করা কমান্ডো নাইফের।

 

উদ্ধার হওয়া আইইডি কন্টেইনারগুলো দিয়ে হাতে তৈরি গ্রেনেড প্রস্তুত করা হয়।

 

নব্য ও পুরাতন এই দুই ধারার জেএমবি সদস্যরা বহুদিন ধরে এসব কন্টেইনার ব্যবহার করে বিস্ফোরকদ্রব্য তৈরি করে আসছিল।